ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হতাশ ইব্রা!

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১ জানুয়ারি ২০১৭

হতাশ ইব্রা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফ্রান্সে চার বছর কাটিয়েছেন সুবর্ণ সময়। এ বছর পাড়ি দিয়েছেন ইংল্যান্ডে। সুইডিশ তারকা জ¬াতান ইব্রাহিমোভিচ যোগ দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। দলের অবস্থান এখন পর্যন্ত খুব বেশি ভাল না হলেও নিজের পারফর্মেন্সের উজ্জ্বলতা ঠিকই ধরে রেখেছেন জ¬াতান। ইতোমধ্যেই ম্যানইউ জার্সিতে ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ১২ গোল। বক্সিং ডে ম্যাচে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচেও তিনি লক্ষ্যভেদ করেছেন। সেটার ফলে বছরে ৫০ গোল করা হয়ে গেছে ৩৫ বছর বয়সী ইব্রার। কিন্তু এরপরও দারুণ হতাশা কাজ করছে তার মধ্যে। তিনি মনে করেন নিজে গোল করার চেয়ে সতীর্থদের গোল করাতে পারাই বেশি জরুরী। এখন পর্যন্ত সেই কাজটা করতে না পেরে নিজের ওপর অসন্তুষ্ট এ সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) থেকে চলে আসার পরও একেবারে অপরিবর্তিত আছেন ইব্রাহিমোভিচ। জুলাইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর অন্তত নিজের নৈপুণ্যে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। নিয়মিতই গোল পাচ্ছেন তিনি। এক বছরের চুক্তি হলেও এখন ম্যানইউ কোচ জোশে মরিনহো দারুণ সন্তুষ্ট ইব্রার ওপর। সে কারণে অবিলম্বেই চুক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন তিনি। কিন্তু ইব্রাহিমোভিচ নিজে কি সন্তুষ্ট হতে পেরেছেন? না, পারেননি- তার মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্ষেপ সতীর্থদের জন্য কিছু করতে না পারাটাই। এখন পর্যন্ত সতীর্থদের দিয়ে মাত্র ৩ গোল করাতে পেরেছেন ইব্রা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমি বক্সিং ডে ম্যাচে গোল করি সেটা ছিল আমার চলতি বছরের ৫০তম গোল। এটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। কারণ একজন খেলোয়াড় যখন শুধু নিজেই গোল করার জন্য মনোযোগী থাকে তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় সে আসলে শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবছে। যেমন আমি আসলে নিজেকে নিয়ে ভাবার জন্য এখানে আসিনি। আমি আমার সতীর্থদের সহায়তা করতে এসেছি যেন সবাই মিলে জিততে পারি। গোল করার বিষয়টা আসবে দুই নম্বর গুরুত্ব হিসেবে, কিন্তু এক নম্বরে অবশ্যই আমার দল। এটাই সংঘবদ্ধ হওয়ার অন্যতম অংশ যারা সামঞ্জস্যপূর্ণ নৈপুণ্য দেখাতে পারলে জেতা সম্ভব হয়। যদি সামগ্রিকভাবে ভাল করা যায় সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে সবাই নিজ নিজ উন্নতি করতে পারে। আমি এমনটাই করতে পছন্দ করি। আপনারা যদি জানতে চান আমার খেলার ধরন, তাহলে বলব আমি হচ্ছি সেই খেলোয়াড় যে গোল করে এবং মনেপ্রাণে চেষ্টায় থাকে সতীর্থদের গোল করানোর জন্য।’ যদিও এখন পর্যন্ত মাত্র সতীর্থদের তিনটি গোল তিনি উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে যে গোলটি করিয়েছেন সেটা দীর্ঘদিন মনে রাখবেন সেদিনের দর্শকরা। তার ক্রসে স্করপিয়ন কিকে লক্ষ্যভেদ করেন মার্কিন মিডফিল্ডার হেনরিখ মিখটারিয়ান। এ বিষয়ে ইব্রাহিমোভিচ বলেন, ‘ওটা ছিল নিখুঁত একটা ফিনিশিং। আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে যদি আমি বলটা আরেকটু আগে বা পরে দিতাম সেক্ষেত্রে গোল করার জন্য ব্যাকহিল শট নিতে হতো। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়নি, কারণ অনুশীলনে আমরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই এটা অনুশীলন করেছি এবং শেষ পর্যন্ত এটা কার্যকর হয়েছে। আমি খুবই খুশি মিকির জন্য। এমন একটি গোল করার পর কেমন আনন্দ বোধ হয় সেটা আমি জানি। কিন্তু আমি এভাবে খুব বেশি গোল করিয়ে নিতে পারিনি সতীর্থদের দিয়ে। তবে এটাকে খেলার অংশই মনে করছি। মাত্র ৬ মাস হয়েছে আমার ম্যানইউতে। আমি আগে অন্য ক্লাবগুলোতে অনেক গোল যেমন করতাম, তেমনি অন্যদের জন্য প্রচুর গোল বানিয়েও দিয়েছি। আবারও সেটা নিয়মিত করতে চাই।’ ‘নাইটহুড’ পেলেন এ্যান্ডি মারে ও মো ফারাহ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন বছরের উপহারটা বুঝি এর চেয়ে আর ভাল হতে পারত না। বিদায়ী ২০১৬Ñএ দুর্দান্ত কাটানোর পর বছরের শেষেই ব্রিটেনের অভিজাত ‘নাইটহুড’ উপাধি পেলেন ব্রিটিশ টেনিস তারকা এ্যান্ডি মারে। একই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবারের রিও অলিম্পিকে দারুণ পারফর্ম করা দৌড়বিদ মো ফারাহও। বছরটা সত্যিকার অর্থেই স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন মারে। জিতেছেন উইম্বলডন, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিটেনের হয়ে জয় করেছেন অলিম্পিক সোনা। সার্বিয়ান সুপারস্টার নোভাক জোকোভিচকে টপকে উঠে এসেছেন র?্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। তবে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই ‘নাইটহুড’ পেয়ে অবাকই হয়েছেন মারে। একই সঙ্গে মারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তিনি চাচ্ছেন তাকে যেন ‘স্যার’ না ডাকা হয়, ‘সে চায় না সবাই তাকে ‘স্যার’ বলে ডাকুক। বিষয়টি তাকে খুবই অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দেবে।’ আগামী বছর যখন উইম্বলডনে খেলতে নামবেন, তখন তার নামের পাশে ‘স্যার’ না লিখতেও অনুরোধ জানিয়েছেন মারে। তিনিই ইতিহাসের প্রথম কোন টেনিস খেলোয়াড় যিনি ‘নাইটহুড’ উপাধি নিয়ে কোর্টে নামতে যাচ্ছেন (চলমান বোঝাতে)। ব্রিটেন সরকার কৃতীমানদের প্রতিবছর গৌরবময় এই ‘নাইটহুড’ ডিগ্রী দিয়ে থাকে। এবার টেনিস তারকা? মারে এবং এ্যাথলিট ফারাহ এই সম্মান পেয়ে বেশ আপ্লুত।
×