ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামাল-মোহামেডান ম্যাচ অমীমাংসিত

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

শেখ জামাল-মোহামেডান ম্যাচ অমীমাংসিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ম্যাচের আগে বেশ গুঞ্জন ছিল। পাতানো হতে পারে শেখ জামাল ধানম-ি ও মোহামেডান স্পোটিংয়ের মধ্যকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের ম্যাচ! মোহামেডানকে ছেড়ে দিতে পারে জামাল। তবে রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে কোন দলই জয়ের দেখা পায়নি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। মোহামেডানের হয়ে গোল করেন তৌহিদুল আলম সবুজ আর শেখ জামালের গোলদাতা ল্যান্ডিং। আরেক ম্যাচে জামাল ভূইয়ার পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ নষ্টের মাসুল দিতে হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে শেখ রাসেল। একই ব্যবধানে লীগের প্রথম পর্বে আরামবাগের কাছে হেরেছিল তারা। ২১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট আরামবাগের। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট শেখ রাসেলের। অবস্থান যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম। দুই দলের লীগে একটি করে ম্যাচ বাকি। জামালের বিরুদ্ধে জিততে পারলে রেলিগেশন এড়ানো অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যেত মোহামেডানের। কিন্তু ড্র করে সে শঙ্কা এখনও কাটেনি। এজন্য শেষ রাউন্ডের ম্যাচের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সাদা-কালো জার্সিধারীদের। ২১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আগের ১০ম স্থানেই মোহামেডান। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই জামাল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে শেখ রাসেল ও আরামবাগ। গোলের আশায় মরিয়া থাকে দু’দলই। আর এই লক্ষ্যে প্রায় সফল হয়েছিল প্রিমিয়ার লীগের গেলবারের রানারআপ শেখ রাসেল। ম্যাচের ২০ মিনিট আরামবাগের বক্সের মধ্যে বল নিয়ে গিয়েছিলেন শেখ রাসেলের নাসিরুল ইসলাম নাসির। কিন্তু আরামবাগ রক্ষণভাগ তাকে প্রতিহত করতে গেলে তিনি পড়ে যান। ফলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নেয়া শটটি জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জামাল ভুঁইয়া। এরপর শফিকুল ইসলাম মানিকের দল আর জাল খুঁজে পায়নি প্রথম ৪৫ মিনিটে। আরামবাগও তেমন আক্রমণ শাণাতে ব্যর্থ হয়। ফলে গোলশূন্য সমতা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় দু’দলকে। প্রথমার্ধে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই পেরেছে আরামবাগ। ৬৬ মিনিটে একাই শেখ রাসেল রক্ষণ দুর্গকে বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত প্লেসিং শটে জালে জড়ান ফরোয়ার্ড সাজিদ। তাতেই ১-০তে এগিয়ে যায় কোচ সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে ম্যাচের বাকি সময় বেশ কয়েকবার আরামবাগ সীমানায় আক্রমণে যায় শেখ রাসেল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতিটি আক্রমণ আরামবাগ রক্ষণে প্রতিহত হলে নবম হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাসেলকে। আলোচিত মোহামেডান-জামাল ম্যাচটি খুব একটা আলো ছড়াতে পারেনি। তবে জামালের বিরুদ্ধে ঠিকই সাফল্য ধরে রাখে মোহামেডান। লীগের প্রথম লেগে তৌহিদুল আলম সবুজের একমাত্র গোলে জামালকে হারিয়েছিল সাদাকালোরা। এবার দু’দলের দ্বৈরথ ড্র। হাইভোল্টেজ ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় মোহামেডান। ১৮ মিনিটে ইসমাইল বাঙ্গুরার থ্রু থেকে বল নিয়ে সবুজ শেখ জামাল বক্সে ঢুকে গোল করেন। সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। ২৬ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দলকে ১-১ এ সমতায় ফেরান ল্যান্ডিং। বাকি সময়ে কোন দলই ঠিকানা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলে ড্র অবস্থায় খেলা শেষ হয়।
×