ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

কোটি টাকার এক্স-রে মেশিন অকেজো

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

কোটি টাকার এক্স-রে মেশিন অকেজো

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মেরামতের অভাবে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কোটি টাকা মূল্যের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে রোগীরা উন্নত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাড়তি টাকা খরচ করে তাদের বাইরের ক্লিনিক থেকে ডিজিটাল এক্স-রে করতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সিমেনস কোম্পানির তৈরি ৭৫০ এমএ একটি উন্নতমানের অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। হাঁড়ভাঙ্গা কিংবা শরীরের কোথাও আঘাত পাওয়া ব্যক্তির এক্স-রে করার সময় এ মেশিনে সরাসরি ছবি দেখা যায়। এজন্য মেশিনটিকে ‘ফোস কপি’ এক্স-রে মেশিন বলা হয়ে থাকে। অত্যাধুনিক এ মেশিনে চিকিৎসক রোগীর আঘাত শনাক্ত করার সময় কোন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রয়োজন হয় না। ‘ফ্লোস কপি’ মেশিনের সাহায্যে সরাসরি রোগ নির্ণয় করার জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবার মানসিকতা নিয়ে সরকার মেশিনটি বৃহত্তর যশোরবাসীর চিকিৎসা সেবায় ২০০৯ সালে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রদান করে। কিন্তু মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকার কারণে রোগীরা তাদের প্রয়োজনে এক্স-রে করতে পারছেন না। ২০০৯ সালে মেশিনটি হাসপতালে দেয়ার পর ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই বছর এক্স-রে মেশিনটি সচল ছিল। এ সময় প্রচুর রোগী হাসপাতাল হতে এক্স-রে সুবিধা নিয়েছেন। সরকারও পেয়েছেন আশানুরূপ রাজস্ব। এরপর থেকে এক্স-রে মেশিন আর চলেনি। এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ একে কামরুল ইসলাম বেনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যখন রেডিওলজিস্টের দায়িত্বে ছিলাম তখন মেশিনটি সচল ছিল। তবে মেশিনটি মেরামতযোগ্য হলে মেরামত করা হবে। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। অচিরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া সরকারীভাবে তাড়াতাড়ি একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পাওয়া যাবে বলে জানান ওই সহকারী পরিচালক। পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু স্টাফ বিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ দ্বিতল ছাত্রাবাস থেকে পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে ওই ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটলে তাকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত বৃদ্ধা তহমিনা বেগম (৬০) সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুল হকের শাশুড়ি ও দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
×