অনলাইন ডেস্ক ॥ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। মঙ্গলবার ভোট গণনায় মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক সৈকত পাঁজা। সপ্তম রাউন্ডের গণনার পর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে তিনি এগিয়ে ছিলেন ৭৬ হাজারেরও বেশি ভোটে। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী। কিন্তু, ভওট গণনার পর দেখা যায় তিনি জিতলেন এক লক্ষ ২৭ হাজার ১২৭ ভোটে।
মাত্র তিনটি কেন্দ্রে উপ-নিবার্চন। কিন্তু নোট বদল-পর্বের পর তার গুরুত্ব কোনও অংশেই কম নয়। নোট বদলের সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ছ’টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাষিত অঞ্চলে প্রাথমিক রাউন্ডের পরীক্ষা। মন্তেশ্বর জেতার পর তমলুক ও কোচবিহার কেন্দ্রে প্রাথমিক গণনাতেও ইতিমধ্যেই সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
একই ছবি দেখা গিয়েছে তমলুক ও কোটবিহার লোকসভা উপনির্বানের ক্ষেত্রেও। তমলুকে ১১ রাউন্ডের গণনার পর তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু আধিকারী এগিয়ে ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে। তাঁর জয় প্রায় সুনিশ্চিত। পাশাপাশি, কোচবিহারে চতুর্থ রাউন্ডের গণনার পর এক লক্ষ ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।
তবে কি নোট বদলের সিদ্ধান্ত প্রতিফলিত হচ্ছে ভোট বাক্সে? তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, বামেদের দুর্গ হিসেবে পরিচিত মন্তেশ্বর তৃণমূলের দখলে যাওয়ার পর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী। একই ছবি তমলুক ও কোচবিহারেরও। ওই দু’টি কেন্দ্রেও দু’নম্বর জায়গায় রয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু আধিকারীর অবশ্য দাবি করেছেন, নোট বদলের স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে ভোট ব্যাঙ্কে। তিনি বলেন, “দেশের মাত্র এক শতাংশের কাছে কালো টাকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সুইস ব্যাঙ্কের কালো টাকার তথ্য সামনে আনবেন। তাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাতারাতি নোট বদল করে সাধারণ মানুষকে অসুবিধার মুখে ঠেলে দিয়েছেন।”
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা