ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের দিনকয়েক আগে ফের ই-মেইল বিতর্কে হিলারি

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

নির্বাচনের দিনকয়েক আগে ফের ই-মেইল বিতর্কে হিলারি

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে ফের ই-মেইল বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তার আরো কিছু ই-মেইলের খোঁজ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) নতুন করে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে হিলারি আস্থার সঙ্গে বলেছেন, তার ব্যক্তিগত ই-মেইল চালাচালি নিয়ে নতুন তদন্তে আগের সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হবে না। তিনি শুক্রবার নতুন করে ই-মেইল তদন্তের ব্যাখ্যা মার্কিন জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য এফবিআই পরিচালকের প্রতি আহবানও জানিয়েছেন। এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়ে তারা নতুন করে তদন্ত করছেন। কারণ সেই সময়ের আরো কিছু ই-মেইলের সন্ধান তারা পেয়েছেন। হিলারির সহকারি হুমা আবেদিনের স্বামী সাবেক কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি ওয়েনারের ই-মেইল নিয়ে পৃথক তদন্ত চলাকালে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর ই-মেইল নিয়ে নতুন তদন্তের কথা জানাল এফবিআই। এদিকে নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫ বছরের এক কিশোরির কাছে যৌন উস্কানিমূলক ই-মেইল পাঠানোর ঘটনা নিয়ে অ্যান্থনি ওয়েনারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি হুমা আবেদিন ও অ্যান্থনির কাছ থেকে বেশ কিছু ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বলেছেন, হিলারির আরো কিছু ই-মেইলের খোঁজ পাওয়ায় এফবিআই নতুন করে তদন্ত করবে। তিনি বলেন, ই-মেইলগুলোর গুরুত্ব আদৌ ছিল কিনা বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। এর জন্য তদন্ত দরকার এবং তদন্ত সম্পন্ন করতে ঠিক কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে হিলারি ক্লিনটনের বিশ্বাস, নতুন তদন্তে আগের সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, কোন ধরণের বিলম্ব ছাড়াই এর সঠিক ব্যাখ্যা এফবিআইকে দিতে হবে। ২০১৫ সালে প্রথম হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল চালাচালির বিষয়টি ফাঁস হয়। এ সময় এফবিআই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর থেকেই এই বিষয়টিকে হিলারির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ বা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঠিক এ সময়ে এই তথ্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হিলারির নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্টা এই সময়ে এফবিআইয়ের এমন কর্মকান্ডের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব বোস্টনের অধ্যাপক নাজলি কিবরিয়া বলছেন, এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করে ফলাফল জানা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে এখনো ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি, এমন কিছু ভোট হয়তো হিলারির হাতছাড়া হতে পারে।
×