ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১১ বছরেও বন্ধ হয়নি চাঁদপুর সেতুর টোল আদায়

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

১১ বছরেও বন্ধ হয়নি চাঁদপুর সেতুর টোল আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২৭ অক্টোবর ॥ চাঁদপুর-রায়পুর-বেগমগঞ্জ সড়কে ডাকাতিয়া নদীর উপর ‘চাঁদপুর সেতু’ জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হলেও এখন তা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ১১ বছরেও এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ না হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের কাছে সেতুটি প্রশ্নবিদ্ধ। জেলার দায়িত্বরত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে বহু আবেদন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ করেও এর কোন সুরাহ হয়নি। পাশাপাশি একই নদীর উপর এই সেতুর পরে তৈরী হওয়া চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার-পুরাণ বাজার সেতু, হাজীগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ সেতুর টোল আদায় আরও ৬/৭ বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর-রায়পুর সেতুটি ২০০৫ সালের ১৭ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে এই সেতুটি নিয়মিত ইজারা দিয়ে আসছে চাঁদপুর সড়ক বিভাগ। সর্বশেষ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ইজারা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত আর কোন ঠিকাদার ইজারা নেননি। চলতি বছর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ১১বার দরপত্র আহ্বান করা হলেও কোন ঠিকাদার দরপত্র ক্রয় করেননি। সর্বশেষ দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ৯ সেপ্টেম্বর। দরপত্র বিক্রয়ের শেষ তারিখ ছিল গত ২৫ সেপ্টেম্বর। ফরিদগঞ্জ উপজেলার পরিবহন শ্রমিক নেতা আঃ রাজ্জাক রাজা জানান, চাঁদপুর-রায়পুর সেতু নির্মাণ হওয়ায় এটিকে আমাদের জন্য আশির্বাদ মনে করেছি। কয়েক বছর টোল আদায় হবে, তারপর বন্ধ এমন আশা ছিলে এই অঞ্চলের মানুষের। কিন্তু এখন এই সেতু ১১ বছরেও টোল আদায় বন্ধ না হওয়া সকলের জন্য বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন শত শত সিএনজি অটোরিক্সা, মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাসসহ কাঁচামাল বহনকারী ভ্যান গাড়ি এই সেতু দিয়ে চলাচল করে। জেলার সকল সেতুর টোল আদায় বন্ধ হলেও অদৃশ্য কারণে এটি বন্ধ হচ্ছে না। চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রী তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক আব্দুর সবুর ম-ল ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্তকে টোল আদায় বন্ধের জন্য লিখিত আবেদন তৈরি করে তার কাছে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি সড়ক ও সতু মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন। চাঁদপুর সড়ক ও জপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আলোকে আমরা সর্বশেষ ১১তম দরপত্র আহ্বান করেছি। বর্তমানে সড়ক বিভাগ ও দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে লোক দিয়ে সেতুর টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায় বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়।
×