ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘হিলারির ই-মেল ইস্যুতে এফবিআইয়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে’

কংগ্রেস ও বিচার বিভাগকে তীব্র আক্রমণ ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

কংগ্রেস ও বিচার বিভাগকে তীব্র আক্রমণ ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রিপাবলিকান সহকর্মীদের সমালোচনাকে বিস্তৃত করে কংগ্রেস, বিচার দফতর ও এফবিআইয়ের ওপর তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন। তিনি কয়েক সপ্তাহে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে খাপ খাওয়াতে এ পথ অবলম্বন করেছেন। খবর ওয়ান স্ট্রিট জার্নালের। নির্বাচনের দিনের আগে মাত্র আরেকটি বিতর্কানুষ্ঠান হবে বলে ট্রাম্পের সামনে তার প্রচারে বড় ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে খুবই কম সুযোগ রয়েছে। যদিও তার প্রচার শিবির এর টেলিভিশন বিজ্ঞাপন জোরদার করার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের নিজ সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বছরব্যাপী বিনিয়োগ তার জন্য চূড়ান্ত সুবিধা বয়ে আনতে পারে। ট্রাম্প বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এক প্রাইভেট ই-মেল সার্ভার ব্যবহারের জন্য হিলারিকে শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেয়ার জন্য ওয়াশিংটন এস্টাবলিশমেটের নিন্দা করেন। তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওকালায় এক সমাবেশে বলেন, আমি কংগ্রেসের বিষয়ে অর্থাৎ দু’দলকে নিয়েই খুবই হতাশ। যদি আপনারা এটি এফবিআই ও বিচার দফতরের কাছে ছেড়ে দেন এবং সেখানেই এর অবসান ঘটে তবে আপনারা করছেন কী? ওই সব সমালোচনা ভোটার উপস্থিতি হ্রাস করা এবং তার জোর সমর্থকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য তার প্রচার শিবিরের নেয়া নয়া কৌশলের অংশ। কিন্তু হিলারির প্রচার শিবির তার সমালোচনা হিলারির ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখবে- এ ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের অনেকেই আগেই ভোট দিতে ওহাইওতে বুধবার লাইনে দাঁড়ান। শনিবার একদল রিপাবলিকান সিনেটর ট্রাম্পের নারী সম্পর্কিত অশ্লীল মন্তব্য শোনার পর তার প্রার্থিতার ওপর থেকে তাদের সমর্থন ফিরিয়ে নেন। ওয়ান স্ট্রিট জার্নাল/এনবিসি নিউজের মঙ্গলবার প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারির তুলনায় পিছিয়ে আছেন। ট্রাম্পের আরেক সমর্থক তাদের ক্রোধের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন এমন রিপাবলিকান সদস্যদের ফেসবুক পাতা কড়া মন্তব্য দিয়ে ভরে ফেলেন ট্রাম্প সমর্থকরা। এতে সাউথ ডেকোটার সিনেটর জন থুন ও নেব্রাস্কার সিনেটর ভেব ফিশার এখনও ট্রাম্পকে ভোট দেবেন বলতে বাধ্য হন, যদিও তারা প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সরে দাঁড়াতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প ওকালাতের সাউথ ইস্টার্ন লাইভস প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার লোকের উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি এ হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে হিলারির বিষয়ে তদন্ত করতে এক বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ করবেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারির প্রাইভেট ই-মেল সার্ভার ব্যবহার এবং গোপনীয় তথ্য নাড়াচাড়ার দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে ব্যর্থতার জন্য ট্রাম্প এফবিআই ও বিচার দফতরের বিষয়েও তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। ওই ইস্যুতে চাপ না দেয়ার জন্য ট্রাম্প কংগ্রেসের সমালোচনা করেন। তিনি ক্যাপিটাল হিল ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্বিপক্ষীয় ক্লাব বলে অভিহিত করে বলেন, তারা কি ওয়াশিংটনে একে অপরকে রক্ষা করবেন বলে চুক্তি করেছেন?
×