ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রে পরিণত হবে ॥ মা মিংকিয়াং

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ৪ অক্টোবর ২০১৬

চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রে পরিণত হবে ॥ মা মিংকিয়াং

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কয়েক বছরের মধ্যে চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রে পরিণত হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং বলেছেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। এ দেশে চীনা বিনিয়োগের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন এক নম্বরে ওঠে আসবে। সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট ওই সেমিনারের আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। এ সফরে দ্বিপক্ষীয় অনেকগুলো বিষয় চুক্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে যা এখন চূড়ান্ত প্রক্রিয়াধীন। চলতি মাসের ১৪ তারিখ চীনা প্রেসিডেন্ট দু’দিনের সফরে ঢাকা আসবেন। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সক্ষাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বাংলাদেশে যে কোন প্রকল্পের অংশীদার হতে পারলে চীন খুশি হবে যদি তা দু’দেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চীন ব্রহ্মপুত্র নদে যে জলবিদুত প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাতে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, এটা অত্যন্ত গর্বের যে, বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। চীনের প্রেসিডেন্টের আগমনের মধ্য দিয়ে তা এক অন্য মাত্রায় গিয়ে ঠেকবে। আমাদের এই সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও প্রাপ্তিতে সময়োত্তীর্ণ। এ সময় তিনি দেশের অবকাঠামো, যোগাযোগ, শিক্ষা উন্নয়নে চীনের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ অংশীদার। গত পাঁচ বছরে চীনে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলেও দু’দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীনের কাছে পাঁচটি বিষয় প্রত্যাশা করে। টেকসই বিনিয়োগ, শিল্পের আধুনিকায়ন নিশ্চিতে প্রযুক্তি সরবরাহ, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, বাজার সুবিধা ও ব্রান্ড ইক্যুয়িটি এবং প্রতিরক্ষা, কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, পানি সম্পদ ইত্যাদি খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ চীনের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের (এফটিএ) প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও বিআইআইএসএসর রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ।
×