ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসরাইলের পরমাণু বোমা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১ অক্টোবর ২০১৬

ইসরাইলের পরমাণু বোমা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার  জন্য হুমকি

ইহুদীবাদী ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচীকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেছেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র ইরানী রাষ্ট্রদূত রেজা নাজাফি। খবর ইয়াহু নিউজের। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আইএইএ’র সাধারণ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ইহুদীবাদী ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্রনীতির অস্পষ্টতা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। ইহুদীবাদী ইসরাইলের গোপন পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য আইএইএ’র প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া তেলআবিবের পরমাণু কর্মসূচীর প্রতি কোন কোন বিশ্বশক্তির নিঃশর্ত এবং প্রযুক্তি সহযোগিতার কঠোর নিন্দা করেন তিনি। একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেন তিনি। জিকা ভাইরাস থাইল্যান্ডে প্রথম অপুষ্ট মাথার শিশুর জন্ম জিকা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত মাইক্রোসেফালি অর্থাৎ শিশুদের অপুষ্ট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়ার দুটি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেছে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোন দেশে এই প্রথমবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় অপুষ্ট মাথার শিশু জন্ম নেয়ার ঘটনা ঘটল। খবর বিবিসির। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণও এডিস মশা। গত বছর ব্রাজিলে প্রথম জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ এশিয়াজুড়েও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে। থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রাসার্ত থঙচারোয়েন বলেন, সংক্ষেপে বলতে গেলে, জিকা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত অপুষ্ট মাথার দুটি শিশুর জন্ম হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জিকা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত মাইক্রোসেফালির ঘটনা এই প্রথম। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ৩৫০ জিকা আক্রান্ত রোগীর কথা নিশ্চিত করেছিল থাইল্যান্ড। এদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন গর্ভবতী। ওই অঞ্চলে সংখ্যার দিক থেকে এটি সর্বোচ্চ। শিশুদের অপুষ্ট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া অর্থাৎ মাইক্রোসেফালির সঙ্গে এই ভাইরাস দায়ী বলে বেশিরভাগ চিকিৎসক এবং গবেষক মনে করেন। ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারী পরিকল্পনা এখনও ঘোষণা করা হয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার বিষয়ে ব্রিটেন ভোট দেয়ার পর ১শ’ দিন অতিক্রান্ত হলেও কখন ও কিভাবে সরকার এটি ছেড়ে চলে আসবে সেই পরিকল্পনার বিষয়ে তারা এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি। খবর এএফপি’র। রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিটের মানে ব্রেক্সিট এবং তিনি ব্রিটেনের জন্য সর্বোত্তম চুক্তি চাইবেন। তবে সরকারের কর্মকৌশলের বিষয়ে কোন ধারাবর্ণনা দেবেন না বলেও তিনি জানান। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহে বলেন, দেশটি ইইউ’র লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ-৫০ কার্যকর করতে আগ্রহী। এই চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের গোড়ার দিক থেকে দু’বছরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু মে’র ডাউনিং স্ট্রিট দফতর এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রয়েছে। এর আগে দফতরের পক্ষ থেকে পুনরাবৃত্তি করে বলা হয়েছে এ বছর শেষ হওয়ার আগে এটা ঘটবে না। লন্ডনে আলোচনার পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ বলেন, তারা কিভাবে ও কখন অনুচ্ছেদ-৫০ কার্যকর করবেন সে বিষয়ে সরকার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে তিনি মনে করেন। শুলজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য নেতারা চান ব্রিটেন এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। এক্ষেত্রে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনিশ্চয়তা হচ্ছে এক ধরনের অসহযোগিতা। এদিকে আগামী বছর ফ্রান্স ও জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটিও সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
×