ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জেমিনি সী ফুডের দর কমেছে

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ২৪ জুলাই ২০১৬

জেমিনি সী ফুডের  দর কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের শেয়ার দর ৬ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। এতে দরপতনের তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে আসে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। এদিকে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন করায় গত মাসে জেমিনি সি ফুডকে ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে ডিএসই। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ হিসাব বছরে এ কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আগের বছর যা ছিল ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গেল হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ৬ টাকা ৮৯ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় জেমিনি ফুড। এতে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয় কোম্পানিটি। সে বছর লোকসান কাটিয়ে তারা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩৯ পয়সা মুনাফা দেখায়, যেখানে আগের বছর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৫ টাকা ৩৯ পয়সা। ২০১৪ হিসাব বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৩১ পয়সা দায় থাকলেও ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইতে বৃহস্পতিবার এ শেয়ারের দর কমে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ বা ৭৪ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর দর ১ হাজার ১২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১ হাজার ১৯৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১ হাজার ১৩১ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ১ হাজার ১৯৭ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন ৫৩২ বারে কোম্পানিটির ১০ হাজার ২৪০টি শেয়ারের লেনদেন হয়। সম্প্রতি কোম্পানিটি জানায়, শেয়ারের সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির নেপথ্যে কোন অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই তাদের হাতে। কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির নেপথ্যে কোন কারসাজি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গত বছর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেমিনি সি ফুডের অনুমোদিত মূলধন ২ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভ মাইনাস ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১১ লাখ। এর ৭৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১ দশমিক ৭৬ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ শেয়ার।
×