ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে পিটিআই সুপার অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১ জুলাই ২০১৬

নীলফামারীতে পিটিআই সুপার অবরুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর প্রাইমারী টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সুপার সাদিয়া আফ্রিন বিজলীর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের নিকট থেকে জোরপূর্বক ঘুষ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী তাকে অফিস রুমে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখে প্রশিক্ষণার্থীরা। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এজেএম এরশাদ আহসান হাবিব এসে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে প্রশিক্ষণার্থীরা তার রুমের তালা খুলে দেয়। এ ঘটনায় প্রশিক্ষণার্থীরা জেলা প্রশাসক ববাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। অভিযোগ মতে, তিনি ২০১২ সালের ২১ জুলাই যোগদান করে ওই সুপার দুর্নীতির বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছেন। বর্তমান শিক্ষা বছরে পিটিআইতে ১৯৭ প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন। তাদের নির্ধারিত ভর্তি ফি এক হাজার টাকার স্থলে দুই হাজার এক শ’ টাকা এবং সংস্থাপন ফি বাবদ ৩০০ টাকা জোরপূর্বক আদায়কালে প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিবাদী হয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিমাসে সরকার শিক্ষার্থীদের ১৫শ’ টাকা সম্মানী তিন শ’ দেয়। কিন্তু ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে সুপার শিক্ষার্থীদের সম্মানীর কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হোস্টেলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের রান্নার কাঠ সাপ্লাই দেয়ার নামে তিনি লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। বিদ্যুত বিল সরকার দেয়, তারপরও সুপার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুত বিল আদায় করে নিজেই পকেটে ভরেন। তার এখানে যোগদানের পর হতে তিনি প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ব্যাপারে পিটিআই সুপার সাদিয়া আফ্রিন বিজলী জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ দেশের সকল পিটিআই যে নিয়মে চলে তিনিও নীলফামারীতে সে নিয়মে পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পিটিআইর প্রশিক্ষণার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একটি তদন্ত টিম গঠন করে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×