প্রায় ৫০০০ বছর আগে যোগাব্যায়ামের উদ্ভব ঘটে ভারতীয় উপমহাদেশে। উপনিষদের মতো ধর্মীয় গ্রন্থেও এই যোগব্যায়ামকে সুস্থ জীবনের অন্যতম উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহর্ষি পতঞ্জলি প্রাচীন এই যোগ রীতির আবিষ্কারক। ৩০০০ বছর আগেই উপনিষদে বর্ণিতÑ ‘যার চিন্তা নিয়ন্ত্রিত নয়, যে মানসিকভাবে স্থির নয়, যার চিত্ত সুস্থ নয় সে কখনোই নিজের সত্যিকার সত্তাকে আবিষ্কার করতে পারে না। এমনকি জ্ঞানের মাম্যমেও তা সম্ভব হয় না।’
কিন্তু ধর্মীয় এই ধ্যান ধারণা কিংবা মানসিক সুস্থতার এমন বৈজ্ঞানিক উপায় এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার। নিজ দেশের সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা করার অসাধারণ উপায়।
গেল বছর যোগব্যয়ামের এমন আন্তর্জাতিক ব্যান্ডিং বেশ ঢালাওভাবেই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নবেন্দ্র মোদি। দিল্লীর রাজপথে নিজেই ভক্ত সমর্থকদের যোগ ব্যায়ামের অনুশীলন করিয়েছিলেন। এ বছর ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
২১ জুন ভারতসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে যোগব্যায়ামের এমন আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে, কেনিয়া, সাউদ আফ্রিকা সর্বত্রই ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন এ যোগরীতি। ভারতের প্রধান সবশহর ছাড়াও গ্রামেগঞ্জেও আয়োজন করা হয়েছে যোগ ব্যয়াম । এমনকি ভারতের নৌবাহিনীও তিন সপ্তাহব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে। নিজেদের সৈনিক ছাড়াও তারা বেসামরিক লোকদের প্রাচীন এই যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণ দেয়। তবে সমালোচকরা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এমন কর্মশালাকে ভ-ামী বলে অভিহিত করেছেন। নিজ দেশে অসহিষ্ণু পরিবেশ রেখে বিশ্বব্যাপী মানসিক সুস্থতার প্রচারণা চালানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এটাই তাদের প্রশ্ন। সূত্র : টাইমস
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: