ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্প্যানিশরা হতাশ, ইতালিয়ানদের উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৯ জুন ২০১৬

স্প্যানিশরা হতাশ, ইতালিয়ানদের উচ্ছ্বাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ কূল ভাঙ্গে, ও কূল গড়ে- এই তো নদীর খেলা। ফুটবল খেলাটাও তাই। গত ইউরোর দুই ফাইনালিস্ট এবার প্রি-কোয়ার্টারেই মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১২ সালের সেই ফাইনালে ৪-০ গোলে জিতেছিল স্পেন, কেঁদেছিল ইতালি। এবার উল্টোটা হয়েছে, কেঁদেছে স্পেন আর হেসেছে ইতালি। কোচ এ্যান্টোনিও কন্টের অধীনে ভিন্ন ধারার খেলা উপহার দিয়ে সবার মনটাই কেড়ে নিয়েছে আজ্জুরিরা। তাই কোচ কন্টের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। কিন্তু অপরদিকে, বিষাদের কালো ছায়া স্প্যানিশ শিবিরে। তারকাদের কণ্ঠে হতাশা আর চোখে অশ্রু। ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো এবং ২০১০ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। টানা তিনটি বড় মাপের আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের এমন অভিজ্ঞতা বিশ্বে বিরল। সেই স্প্যানিশরা ২০১৪ বিশ্বকাপে কিছুই করতে পারেনি। গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় তারা। এবার ইউরোতে অবশ্য বেশ ভালভাবেই শুরু করেছিল তারা। যদিও ক্রোয়েশিয়ার কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হারতে হয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় স্থান নিয়ে ঠিকই গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করে তারা। কিন্তু ইতালির কাছে হেরে থেমে গেছে এবারের ইউরো অভিযান। সেটা কোনভাবেই মানতে পারছেন না স্পেনের প্লেমেকার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই হতাশা মেনেই নিতে হবে। তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি কৌশলী ছিল এবং এটাই কারণ ছিল আমাদের পরাজিত হওয়ার।’ জর্জিও চিয়েল্লিনি প্রথম গোলটি করেন এবং শেষ মুহূর্তে একটি গোল করে ব্যবধান বাড়ান গ্রাজিয়ানো পেল্লে। ইনিয়েস্তা ম্যাচ নিয়ে আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা কি করে সেটা দেখার জন্য আমরা অনেক বেশিই অপেক্ষা করেছি। আর এটাই আমাদের শাস্তিস্বরূপ হয়েছে। যে দল নিয়ে আমরা এসেছিলাম সেটার এভাবে খেলা মেনে নেয়াটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু এ বিষয়টা আমাদের মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ স্পেন ৪ বছর আগের সেই দল নেই। নিজেদের যে অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল দলটি সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ বিষয়ে ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে বলেন, ‘আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা যখন ইউরো ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছিলাম এখন সেই পর্যায়ে নেই। বেশ কিছু উদীয়মান তারকা আসছেন যারা যথেষ্ট স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এছাড়াও অনেকে আছেন যাদের বেশ অভিজ্ঞতা আছে। এখন আমাদের এই মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কারণ রাশিয়া বিশ্বকাপে ভাল একটা অবস্থান নিয়ে যাওয়া জরুরী।’ এই ব্যর্থতার পর কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক কি করবেন সেটা নিয়ে পিকে কোন কথা বলতে চাননি। তিনি মনে করেন এটা নির্ভর করছে বস্কের ওপরেই। এ বিষয়ে পিকে বলেন, ‘তিনিই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখেন। এই দেশে ফুটবলে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।’ স্পেনে যখন হতাশার অভিব্যক্তি তখন উল্টো চিত্র ইতালি শিবিরে। শেষ আটে পা রেখে দারুণ খুশি দলের সবাই। কোচ কন্টেকেই এর কৃতিত্ব দিচ্ছেন সবাই।
×