ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম দফায় ৬৪২

ডিএনসিসি এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন শুরু

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২৬ মে ২০১৬

ডিএনসিসি এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও রাজধানীর অসহনীয় যানজট কমাতে ৩ হাজার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যমেরা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশান, বারিধারা, বনানী, নিকেতন সোসাইটিসহ সমস্ত এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পীকার এ কথা বলেন। ডিএনসিসির এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন গুলশান, বারিধারা, বনানী, নিকেতন সোসাইটি, গুলশান ইউথ ক্লাব, এলওসিসি, ডিএমপি। এ সময় নাগরিক সেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে স্পীকার ডিজিটাল-ডিএনসিসি-এ্যাপস উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের আগে তিনি সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমে গিয়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা ও ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক তাকে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন। স্পীকার বলেন, সিসিটিভির মাধ্যমে অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম থেকে সমস্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও যথেষ্ট উন্নতি ঘটাতে এসব ক্যামেরা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসি এলাকায় সর্বাধুনিক কন্ট্রোল রুমসহ মোট ৩ হাজার ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ৬৪২ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো ৩ থেকে ১৬ মেগা পিক্সেল রেজুলেশনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দুই মেয়র অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় ও সহযোগিতায় এই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। মেয়র আনিসুল হক বলেন, সবাই বলে ঢাকা বিশ্বে বাজে শহরের মধ্যে অন্যতম। আমি মনে করি ঢাকা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা শহর। কারণ এখানে অনেক লোকের সমাগম। এছাড়া উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যে ২৬ লাখ ৯০ হাজার লোক আমাদের মেসেজ দিয়ে কাজের প্রশংসা করেছেন ও বিভিন্ন পরার্মশ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নির্বাচনের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করেছি। গত একবছরে আমি এবং উত্তরের মেয়র কতটুকু করতে পেরেছি জানি না। তবে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আগে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাতের বেলায় প্রায়ই কার রেসিং হতো। চলতো নানা ধরনের অসামাজিক উৎপাত। সিসিটিভি সার্ভিলেন্সের আওতায় আনায় এগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, স্বপ্ন না দেখতে শিখলে কিছুই সম্ভব হয় না। ২০১২ সালে আমরা এই এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢেকে দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ তা বাস্তবায়নের পথে। এই প্রকল্প শুরুর প্রথমে মোট আড়াই কোটি টাকা পেয়েছিলাম। মোট সাড়ে ৭ কোটি টাকার আশ্বাস পেয়েছিলাম। তাদের কারণেই এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
×