ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাওনা টাকা না পেয়ে চাচাত ভাইকে ৮ টুকরা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৫ মে ২০১৬

পাওনা টাকা না  পেয়ে চাচাত  ভাইকে  ৮ টুকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৪ মে ॥ মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য গাজী পাম্পের বিক্রয় কর্মকর্তা সরোজ মোল্লা ওরফে আকতারুজ্জামানকে (৩৫) হত্যার পর লাশ ৮ টুকরো করে গুম করার পাঁয়তারা চালাচ্ছিল দূরসম্পর্কের চাচাত ভাই রাহিদুজ্জামান রাহেদ। পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ঘাতক রাহেদকে আটকের পর আকতারুজ্জামানের টুকরো টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে। শহরের কৃষ্ণপুরের ভাড়াবাসা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আকতারুজ্জামান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাইকপাড়ার নান্দিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। তিনি গাজী পাম্পের বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে পাবনায় কর্মরত ছিলেন। গাজী পাম্পের টেরিটোরি সেল্স ম্যানেজার সবুজ মিয়া জানিয়েছেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আকতারুজ্জামানের ফোনে কোন সাড়া না পাওয়ায় খোঁজ নিতে তার বাসায় গেলে চাচাত ভাই রুমমেট রাহেদ জানায়, সে জরুরী কাজে গ্রামের বাড়িতে গেছে। কিন্তু আকতারুজ্জামান বাড়ি না যাওয়ায় আবারও রাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। তার দেয়া তথ্যমতে, কৃষ্ণপুরের কামিল হোসেনের ৫ তলা বাড়ির নিচতলার ভাড়াবাসার বাথরুমের ছাদ থেকে আকতারুজ্জামানের ৮ খ- লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাওনা ৫ হাজার টাকা না পেয়ে চাচাত ভাই রাহিদুজ্জামান মশলাবাটার পুতা দিয়ে সরোজ মোল্লার মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। এরপর তার লাশ ৮ খ- করে গুম করার জন্য বাথরুমের উপরে রাখা হয়। এ ব্যাপারে সরোজ মোল্লার চাচা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক রাহেদুজ্জামান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নান্দিয়া পাইকপাড়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
×