ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজব হলেও গুজব নয়

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

আজব হলেও গুজব নয়

চালকবিহীন গাড়ি বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে দুবাই ইতোমধ্যে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন এখন দুবাইতে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারেও দেশটি এগিয়ে গেছে। তারই অংশ হিসেবে দুবাইতে চালু হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চালকবিহীন যাত্রীবাহী গাড়ি। সম্প্রতি দেশটির সরকার মোট পরিবহনের ২৫ শতাংশ চালকবিহীন গাড়ি চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশটির আমির শেখ মোহাম্মদ ঘোষণা করেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরগুলোয় ২৫ শতাংশ চালকবিহীন নতুন গাড়ি নামানো হবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিবহন খরচ এবং দুর্ঘটনার পরিমাণ উভয়ই কমে আসবে। প্রকল্পটি দুবাই সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের যৌথ বিনিয়োগে বাস্তবায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, দুবাইতে চালকবিহীন মেট্রো রেল চালু রয়েছে। দেশটিতে ট্যাক্সি সেবা দিচ্ছে এ রকম প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক। আর এসব ট্যাক্সির বেশিরভাগ চালকই বিদেশী শ্রমিক। নতুন প্রকল্প চালু হলে চালকদের কী হবে এই ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়নি। সৌর বিদ্যুতচালিত বিমান জ্বালানি ছাড়া বিমান আকাশে উড়বে এ কথা কি কখনও চিন্তা করা যায় ? অবাক হবারই বিষয়, এই প্রথম জ্বালানি ছাড়া সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে বিমান আকাশে উড়িয়ে দেখাল সুইস পাইলটরা। শুধু তাই নয় বিমানটি প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াতে অবতরণও করে। আর এই সফল অভিযানের জন্য বিমানটি সময় নিয়েছে তিন দিনেরও বেশি সময়। তবে বিমানের আগে সৌর বিদ্যুতচালিত বাসও আমরা দেখতে পেয়েছি। একদল সুইস পাইলট এবং একজন মনোবিজ্ঞানী বারটার্নড পিকার্ডের তত্ত্বাবধানে সোলার ইমপালস-২ নামে বিমানটি স্থানীয় সময় এগারোটা ত্রিশের দিকে মাউন্টেন ভ্যালি থেকে যাত্রা শুরু করে। সৌর বিদ্যুতচালিত বিমানটি দেখতেও আর দশটি বিমানের মতোই। তবে এর পাখা দুটো জ্বালানিচালিত বিমান থেকে আয়তনে বেশ বড়। বিমানটি তৈরির শুরুতে উড়তে যাওয়া নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সবকিছু কাটিয়ে সফলভাবে বিমানটি আকাশে উড়তে সক্ষম হয়েছে। তবে শুরুর দিকে ওড়ার সময় বিমানে নানা জটিলতা দেখা দিলে দশ মাস এটিকে ওহু দ্বীপে অবস্থান করতে হয়। বিমানটির সফলভাবে অবতরণের পর সেন্ট ফ্রান্সিসকোতে এই উপলক্ষে আনন্দ উদ্যাপন করা হয়েছে। যেহেতু বিমানটি সৌর বিদ্যুতচালিত এবং এর গতি একটি সাধারণ গাড়ির গতির সমান সেহেতু হাওয়াই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যেতে বিমানটির সময় লেগেছে ৬২ ঘণ্টা। কিছু দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার কয়েকমাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিমানটি তৈরি করেছেন। তবে সূর্যের আলো ছাড়া বিমানটি চালানো একেবারেই সম্ভব না। তৈরির প্রথমে বিমানটির ব্যাটারিতে সমস্যা দেখা দিলে পরবর্তীতে সেটারও সমাধান বের করে আরও শক্তিশালী ব্যাটারি লাগানো হয়। তবে কোন জায়গায় যাত্রা করছে তার দূরত্ব বুঝে পর্যাপ্ত সৌর বিদ্যুত মজুদ রেখেই তবে বিমানটি আকাশে উড়াতে হবে। ভেতরে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। আর এই বিমানটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে বিশ মিলিয়ন ডলার। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×