ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ॥ সারাদেশে আলোচিত নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনার দুই বছর পূর্তি আজ (বুধবার)। এই দিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যার পর ইটের বস্তা লাশের সঙ্গে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। নৃশংস এই হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী সংস্থা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বর্তমানে কারাগারে আটক ২৩ আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ইতোমধ্যে ৭ খুনের দুটি মামলার বাদী, দু’জন ম্যাজিস্টেটসহ ৩০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। এদিকে র‌্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ পলাতক ১২ আসামিকে গত দুই বছরেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত দুই বছরেও ৭ খুনে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনের কান্না থামেনি। নৃৃশংস ও আলোচিত হত্যাকা-ের দুুই বছরে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম প্রিয়জনকে হারিয়ে অভাব-অনটনে দিশেহারা পরিবারগুলো। অর্থকষ্টে অমানবিক জীবন যাপন করছে অসহায় ৫টি পরিবার। স্বজনদের একটাই দাবি, এ নৃশংসহত্যাকা-ের খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখে যেতে চান। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের পরিবারগুলো। তাদের অভিযোগ, নূর হোসেন দেশে ফিরে আসার পর থেকে তার প্রভাব দৃশ্যমান হতে থাকে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ঢাকার বাসায় ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, নজরুলের সহযোগী ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী মনিরুজ্জামান স্বপন, জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম ও স্বপনের প্রাইভেটকার চালক জাহাঙ্গীরকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। পরে এ ঘটনা দেখে ফেলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও প্রাইভেটকারের চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করে। অপহরণের তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল বন্দর থানার কলাগাছিয়ার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, দু’গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১ মে নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি নুর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, হাসমত আলী হাসু, আমিনুল ইসলাম রাজু, আনোয়ার হোসেন আশিক ও ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অপরদিকে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাবাসী ও নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীরা ঘটনার জন্য নূর হোসেন ও র‌্যাব-১১ এর উর্ধতন তিন কর্মকর্তাকে দায়ী করে আন্দোলনে নামে। এলাকাবাসী কয়েক দফা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ রাখে এবং অন্যদিকে আইনজীবীরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড অবরোধ ও আদালত বর্জন শুরু করে। এই ঘটনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনে গণবদলি করা হয়। এই হত্যাকা-ের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেনের তৎকালীন ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেন ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবকে দিয়ে ৭ জনকে হত্যা করিয়েছে। এর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‌্যাব-১১ তৎকালীন ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেঃ কমান্ডার এম এম রানাকে স্ব স্ব বাহিনী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে এবং হত্যাকা-ের বর্ণনা দিয়ে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে অন্যান্য র‌্যাব সদস্যের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এলে তাদেরও পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ শেষে তারাও এ হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এই ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ সদস্য এবং নুর হোসেনের ৫ সহযোগীসহ মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার ১৭ মাস পর মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে এই মামলায় ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। দু’বাদী ও দু’ম্যাজিস্টেটসহ ৩০ জনের সাক্ষ্য প্রদান ॥ সাত খুনের দুটি মামলার একটি বাদীর নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আরেকটির বাদী ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডাঃ বিজয় কুমাল পাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়াও এ মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন ও চাঁদনী রূপম, নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ চেয়ারম্যান, তার ছেলে সাইদুল ইসলাম, নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই মিজানুর রহমান রিপন, পুলিশের এসআই, কনস্টেবলসহ ৩০ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। স্বজনদের কান্না থামেনি ॥ মঙ্গলবার সকালে সাত খুনে নিহত নজরুল ইসলামের মিজমিজির বুকস গার্ডেনে গেলে নিহত নজরুল ইসলামে স্ত্রী একটি মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ৭ খুনের বিচারে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ৭ খুনের আসামি নূর হোসেনসহ সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি নেই। সাক্ষীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, আমাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে, আমার ভাই, দেবর, ননদের ছেলেসহ যারা ৭ খুন মামলার সাক্ষী তাদের নামেও নূর হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরা ৭টি মামলা দিয়েছে। তারাই উল্টো এসে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। ওদের ভয়ে এখন আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আমরা প্রতি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। নূর হোসেনের ক্ষমতার দাপট এখনও আছে। শুধু নূর হোসেন জেলখানায় আছে। তার সব লোকজন এলাকা দখল করে রেখেছে। তারা এখন আগের মতোই সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। তিনি আরও জানান, নূর হোসেন প্রথমে জামায়াত করত। পরে বিএনপি করত। সর্বশেষ আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। কিন্তু আমার স্বামী নজরুল ইসলাম আজীবন আওয়ামী লীগ করে গেছে। তিনি আরও জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত নূর হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তি না হবে ও তার অবৈধ সম্পত্তি দুদক না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের শান্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, সাত খুন মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছি। মিজমিজির চৌধুরীপাড়ার নিহত তাজুল ইসলামের বাসায় গেলে তার বাবা আবুল খায়ের ও মা তাসলিমা বেগমও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিহত তাজুল ইসলামের মা তাসলিমা বেগম জানান, ২৪ এপ্রিল তাজুলের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তিনদিন পর ছেলের লাশ আসে। তারা আমার ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার জন্য আমার ছেলের লাশটুকুও আমাকে দেখতে দেয়নি। রাস্তা নিয়ে যখন ঝামেলা হয় তখন আমার ছেলে ভারত ছিল। কি অপরাধে আমার নিরীহ ছেলেকে আমার কাছ থেকে কাইরা নিল তা আমি আজও জানতে পারলাম না। যারা আমার ছেলেসহ সাতজনকে খুন করেছে তাদের যেন আল্লায় কঠিক শাস্তি দেন। তাজুলের বাবা আবুল খায়ের জানান, ছেলে হারানোর দু’বছর পূর্ণ হলো আজ। শুধু আমার ছেলেকেই হত্যা করেনি। পুরো একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার ছেলের শোকে আমার বৃদ্ধ বাবা ও বৃদ্ধ মা (তাজুলের দাদা-দাদি) মৃত্যর বরণ করেছে। বর্তমানে সাক্ষ্য চলছে। জানি না, শেষ পর্যন্ত কি রায় হয়। আমাদেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমাদেরও এ ধরনের পরিণতি হতে পারে। নূর হোসেনের আত্মীয়স্বজনরা আমার নামে, আমার আরেক ছেলে রাজুর নামে ও আমার ভাই আবু তাহেরের নামে তিনটি মামলা দিয়েছে। সন্তান হারালাম আমরা, অথচ তারাই আবার আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে। তাদের খুঁটির জোর কোথায়? তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাবা-মা, ভাই হারানোর বেদনা বোঝেন। আমরা সন্তান হারানোর বেদনা ঝুজতেছি। রাষ্ট্রকেই সাত খুন মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী মধ্যপাড়া এলাকার ৭ খুনে নিহত স্বপনের প্রাইভেটকার চালক জাহাঙ্গীরের অসহায় স্ত্রী শামছুন নাহার নূপুর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার কষ্টের বর্ণনা দেন। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শামছুন নাহার নূপুর জানায়, জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার ২ মাস পর আমার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। আমি এখন খুবই অসহায় জীবন-যাপন করছি। আমি এখন নিজের সঙ্গে নিজেই যুদ্ধ করছি। আমাদের খোঁজখবর কেউ নেয়নি। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী আপা আমাকে সিটি কর্পোরেশনের একটি চাকরি দিয়েছে। এ চাকরির আয় দিয়ে কোনমতে সংসার চালাচ্ছি। আমার মেয়ে রওজা বাবার ছবির দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। রওজা বড় হলে আমি ওর কাছে কি জবাব দেব। এখন শুধু আমাদের একটা চাওয়া, নূর হোসেনসহ সাত খুনের হত্যাকা-ের সকল আসামির ফাঁসি চাই। একইভাবে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিহত চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিমের পরিবার, নজরুলের সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম লিটনের পরিবারের সদস্যরা অর্থকষ্টে ভুগছে। সংসারে চলছে অভাব-অনটন। পরিবারের সদস্যরা জানান, উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে এখন তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন কেউ তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না। তাদের দাবি, নৃশংস এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। যাতে আর কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না দেখায়। পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান (পিপি) জানান, সাত খুনের দুটি মামলায় ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার কার্যক্রম যে গতিতে চলছে আমরা আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে একটি ভাল ফল দেয়া যাবে। সাক্ষীদের হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে সাক্ষী সুরক্ষা আইনে সাক্ষীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও ১২ আসামি পলাতক ॥ আদালতে অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ১ আসামি এখনও পলাতক। চার্জশীটভুক্ত পলাতক আসামিরাÑঅবসরপ্রাপ্ত র‌্যাব সদস্য কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলিম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আল আমিন শরিফ, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, নূর হোসেনের সহযোগী মোঃ সেলিম, সানা উল্লাহ ছানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন।
×