ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রস বর্ডার নেটওয়ার্ক উন্নয়নসহ একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

ক্রস বর্ডার নেটওয়ার্ক উন্নয়নসহ একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়নসহ ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- নতুন বিষয়ে ছাত্রীদের পড়ালেখা করাতে হবে। যেমন- হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল, ক্যাটারিং, সেফ বা সোলার এনার্জি ইত্যাদি নতুন নতুন বিষয় আনতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহুতে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে।’ অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭২ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। পানি ভবন নির্মাণ প্রকল্প, কিশোরগঞ্জ জেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকাস্থ শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্প, দিনাজপুর-চিরিরবন্দর-পার্বতীপুরসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, আমিন বাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্প, নদী তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনেতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প-১ম পর্যায় প্রকল্প ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প। ক্রস বর্ডার রোর্ড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের বিস্তারিত হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক নীতিমালার উদারীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক জোন তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন জনগোষ্ঠী তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদী। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে উন্নয়নের প্রবৃদ্ধিও এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্ত:অঞ্চলীয় বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো আগের মতই কম। এই কারণে আন্ত:অঞ্চলীয় যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রাখতে সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং যথাযথ তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের অবস্থান ভারত, নেপাল, মায়ানমার এবং ভূটানের মাঝামাঝি হওয়ায় এই দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
×