ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সেমিতে শীর্ষ বাছাই রাদওয়ানস্কা

স্টুটগার্টে কারবারের চ্যালেঞ্জ কেভিতোভা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

স্টুটগার্টে কারবারের চ্যালেঞ্জ কেভিতোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুর্দান্ত গতিতেই ছুটছেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। শুক্রবার দারুণ জয়ে স্টুটগার্ট ওপেনের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেন তিনি। জার্মান টেনিস তারকা এদিন ৬-২ এবং ৬-৪ সেটে পরাজিত করেন কার্লা সুয়ারেজ নাভারোকে। স্প্যানিশ টেনিস তারকা নাভারোকে হারাতে কারবার সময় নেন মাত্র ৭২ মিনিট। আর প্রথম সেট জিতে নিয়েছিলেন ২৯ মিনিটেই। শেষ চারে কারবারের প্রতিপক্ষ এখন পেত্রা কেভিতোভা। শেষ আটের কঠিন লড়াইয়ে চেকপ্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভা ৬-১, ৩-৬ এবং ৬-০ সেটে হারান নাভারোরই স্বদেশী গারবিন মুগুরুজাকে। কারবার-কেভিতোভা ছাড়াও স্টুটগার্ট ওপেনের শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করেছেন পোল্যান্ডের এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা এবং জার্মানির লরা সিগেমুন্ড। শীর্ষ বাছাই রাদওয়ানস্কা চেকপ্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিন পিসকোভাকে আর সিগেমুন্ড ইতালির রবার্টা ভিঞ্চিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেন। স্টুটগার্ট ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। সাম্প্রতিক সময়েও টেনিস কোর্টে ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছেন তিনি। চলতি মৌসুমের শুরুতেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পান এই জার্মান তারকা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে কারবার যেন এখন আরও অনেক পরিপক্ক। টেনিস কোর্টে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী তিনি। এ বিষয়ে ২৮ বছর বয়সী কারবার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে এবং অন্যান্য সাফল্য থেকে শিখেছি যে কিভাবে আত্মবিশ্বাসী হতে হয়।’ দুই বছর আগে এই স্টুটগার্টের কোয়ার্টার ফাইনালে কার্লা সুয়ারেজ নাভারোর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন কারবার। যে কারণে এবারের ম্যাচটি ছিল প্রতিশোধের। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবেই কাজে লাগালেন ৮টি ডব্লিউটিএ শিরোপা জেতা কারবার। এ বিষয়ে ম্যাচ শেষে জার্মান তারকা বলেন, ‘আমি সত্যিই প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলাম।’ প্রতিশোধ নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরুলেন কারবার। এবার লক্ষ্য ফাইনাল। সেক্ষেত্রে তার সেমির বাধা এখন পেত্রা কেভিতোভা। দুইবারের উইম্বল্ডন চ্যাম্পিয়ন। শেষ আটে তিনি গারবিন মুগুরুজার বিপক্ষে ঘাম ঝরিয়ে জয় তুলে নেন। এর আগে সিঙ্গাপুরে নাভারোর কাছে হেরেছিলেন কেভিতোভা। যে কারণে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে যথেষ্ট ভাল ধারণা ছিল তার। এ বিষয়ে ২৬ বছর বয়সী চেক তারকা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে তার কাছে দুর্ভাগ্যক্রমে হেরে গিয়েছিলাম আমি। তাই সে যে কতটুকু ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আমার বেশ ভালই জানা ছিল। তাছাড়া এই মুহূর্তেও টেনিস কোর্টে ভাল সময় পার করছে সে। কিন্তু আমি সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পেরে খুবই আনন্দিত।’ এদিকে হারের পর কেভিতোভার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুগুরুজা। এ বিষয়ে স্টুটগার্ট ওপেনের তৃতীয় বাছাই বলেন, ‘আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন, তার বিপক্ষে কিন্তু খুব খারাপ খেলিনি আমি। তার বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিটি পয়েন্টের জন্যই আমি লড়াই করেছি দৌড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার অসাধারণ শটের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। আমি এটা খুব ভাল করেই জানতাম যে পেত্রার মতো খেলোয়াড়রা যখন ভাল খেলে তখন সবকিছুতেই মারাত্মকভাবে আঘাত করে।’ সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে রোমাঞ্চিত এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কাও। টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই রাদওয়ানস্কা এদিন ৬-২ এবং ৭-৬ (১০/৮) সেটে হারান চেকপ্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা পিসকোভাকে। ম্যাচ শেষে দারুণ সন্তুষ্ট এই পোলিশ তারকা বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানতাম যে তার বিপক্ষে আমার অতীত পারফর্মেন্স খুব ভাল। তবে রেকর্ড অবশ্য সবসময় কাজে লাগে না। প্রতিটি ম্যাচই ভিন্ন ধরনের গল্প প্রকাশ করে। তবে আমি আসলে এসব নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাই না। আমি মনে করি ক্লে কোর্টে খুব ভাল খেলতে পারি। আশা করছি আগামীকালও যেন এমন ভাল পারফর্ম উপহার দিতে পারি। আসলে এই টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতিটা বেশ ভালভাবেই নিয়েছিলাম আমি। এখানে ভাল খেলার জন্য সবধরনের প্রস্তুতিই নিয়ে এসেছি।’
×