ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পালমিরায় ৪শ’ জঙ্গীর লাশ ফেলে পালিয়েছে আইএস

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ২৯ মার্চ ২০১৬

পালমিরায় ৪শ’ জঙ্গীর লাশ ফেলে পালিয়েছে আইএস

ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়ার প্রাচীন শহর পালমিরায় ও এর আশপাশে দলের ৪০০ যোদ্ধার লাশ ফেলে গেছে। তবুও মনে হয়, দলটি এর বাহিনীর অধিকাংশকেই ধ্বংস হওয়ার আগেই সরিয়ে নিয়ে গেছে। এটি গত বছর ধরে এর অনুসৃত কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ কৌশল অনুযায়ী দলটি রুশ ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমানের অব্যাহত বোমা বর্ষণের মুখে নির্দিষ্ট অবস্থানগুলো রক্ষা করতে শেষ যোদ্ধা দিয়ে লড়াই করে না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার পালমিরাতে সিরীয় বাহিনীর সফল অগ্রাভিযান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বিজয়ের আভাস, যদিও তারা পালমিরা এলাকার ঠিক কতখানির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। একইভাবে দশ মাস আসে শহরটির পতন হলে তার বাহিনীর শক্তিক্ষয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠেছিল। গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর রুশ বিমান অভিযান শুরু হয় এবং ইরানের নেতৃত্বাধীন এবং লেবাননের হিযবুল্লাহ দল এবং ইরাকী আধা-সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত শিয়া জোট সিরিয়ার সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন বাড়াতে থাকে। এর ফলে আসাদের বাহিনীর ভাগ্য বদল ঘটতে থাকে। সরকারীভাবে রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের অবসান ঘটলেও এর বিমানবাহিনী পালমিরা পুনর্দখলে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করে। গত বছর মে মাসে আইএসের অর্জিত বিজয়ের এক লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, এর যোদ্ধারা মার্কিন বিমানের বোমা বর্ষণের মুখোমুখি না হয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছিল। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আসাদ সরকারের পক্ষে সহায়ক হবেÑ এমন কোন কিছু করার দায়ে অভিযুক্ত হতে চায়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্র আইএসের বিরুদ্ধে কখনও লড়াই না করার দায়ে সিরিয়াকে অভিযুক্ত করত। মার্কিন অভিযোগ কিছুটা প্রচারণামূলকই ছিল, কারণ সিরীয় সেনাবাহিনী ২০১৪ সালে আইএসের হাতে কয়েক দফা পরাজয় বরণ করে। আইএস বন্দী সিরীয় সৈন্যদের শিরñেদ বা গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য সংবলিত যে ভিডিও প্রকাশ করে, তা থেকে সিরীয় বাহিনীর বিপর্যয়ের প্রমাণ মেলে। পশ্চিমা সরকারগুলো ও সিরীয় সরকারবিরোধী জোট রাশিয়াকে সিরীয় সেনাবাহিনীর সমর্থনে আইএস নয় কেবল এমন বিরোধী দলগুলোর ওপর হামলা চালানোর দাঁয়ে অভিযুক্ত করে থাকে। বাস্তবে রুশরা সিরিয়ার সব অংশে সিরীয় সেনা অবস্থানগুলোর প্রতি বড় হুমকির সৃষ্টি করেছিলÑ এমন যে কোন সশস্ত্র বিরোধী বাহিনীর ওপরই বিমান হামলা চালায়। এদের মধ্যে রয়েছে উত্তরাঞ্চলীয় লাতাকিয়া প্রদেশে, আলেপ্পোর আশপাশে এবং হোমস ও হামার চারদিকে বিমান হামলা। আইএস গত বছর এর অগ্রাযাত্রার চূড়ান্ত পর্যায়ে দামেস্ক ও হোমসের মধ্যে সংযোগ সাধনকারী প্রধান উত্তর-দক্ষিণ এমফাইভ মহাসড়কের প্রতি হুমকির সৃষ্টি করেছিল এবং সম্প্রতি বিকল্প হোমস-আলেপ্পো সড়ক সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল।
×