ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হুমকিতে ৩০ হাজার মানুষ

আমতলীতে বাঁধের মাটি ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আমতলীতে বাঁধের মাটি ইটভাঁটিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা বাজার সংলগ্ন পাউবোর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে ইটভাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছে পিএসপিও ভাটির মালিক হাবিবুর রহমান। জানা গেছে, উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা বাজার সংলগ্ন পাউবোর ৪৩/১-এ পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে স্থানীয় হাবিবুর রহমান গত তিন বছর পূর্বে ড্রাম চিমনি ইটভাঁটি নির্মাণ করে। এ বছর ভাঁটির কাজের শুরুতেই ভাটি সংলগ্ন পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে ভাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁধের ঢাল থেকে ৮/১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটায় বাঁধ ভেঙ্গে নিচে পড়ে যাচ্ছে। ওই বাঁধের ঢালের মাটি কাটায় বাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে বাঁধটির এ অবস্থার কারণে ওই এলাকার ২৫/৩০ হাজার মানুষের কাছে মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন শতশত মণ কাঠ পোড়াচ্ছে তার ইট ভাঁটিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ হাবিবুর রহমান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে ইটভাঁটিতে নিয়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মধ্যে রয়েছে। পরিবেশ অধিদফতর ও প্রশাসনকে বাঁধ কাটা ও কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো বিষয়টি জানালেও তারা কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়লেও পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চাউলা এলাকায় হাবিবুর রহমান প্রতিবছর প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে এভাবে ভাঁটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাউলা পিএসপিও ইটভাঁটায় কোন ধরনের ঝিকঝ্যাক পদ্ধতি ব্যবহার না করে তেলের ব্যারেল দিয়ে চুঙ্গা (ড্রাম চিমনি) তৈরি করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে। বাঁধের ঢাল থেকে ৮/১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটায় বাঁধ ভেঙ্গে নিচে পড়ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢাল থেকে ইটভাঁটির ১২/১৫ শ্রমিক মাটি কেটে ভাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছে। ওই ভাঁটির এক শ্রমিক জানান মালিকের নির্দেশে বাঁধের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছি। পিএসপিও ভাটির মালিক হাবিবুর রহমান জানান, বাঁধের ঢাল কাটা হয়নি। পাশ দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে। ্র বরিশাল পরিবেশ অধিদফতরের কার্যালয় পরিচালক সুকুমার চন্দ্র জানান অভিযোগ পেয়েছি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান খবর পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সোনার দোকানে ডাকাতি স্টাফ রিপোর্টার,মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখানে সোমবার গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা এ সময় ২ ভরি স্বর্ণ, প্রায় ৭০ ভরি রুপা, নগদ ১০ হাজার টাকা ও মূল্যবান কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায়। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর বাজারের বাবুল স্বর্ণ শিল্পালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রাত ২টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল বাজারের ২ পাহাড়াদারসহ ১৫/১৬ জনকে বেঁধে রেখে ডাকাতি করে।
×