ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সর্বোচ্চ দরেই একমির শেয়ার বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সর্বোচ্চ দরেই একমির শেয়ার বিক্রি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮৫ টাকা ২০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের সব শেয়ার। এটি নিলামে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ দর। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একমির দুই কোটি শেয়ার সংরক্ষিত থাকলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সর্বোচ্চ দরে পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠান। মোট ১৪০টি বিডের মাধ্যমে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবকৃত শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ৪৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এসব বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবে দেড় শ’ কোটি টাকা। কেনার জন্য ১২২টি প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে ১১০টি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ২০ পয়সা দরে শেয়ার কেনার প্রস্তাব করেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের বিক্রির জন্য নিলাম শুরু হয়েছে। এটি বুধবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। বধি অনুসারে, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ারের নির্দেশক মূল্য থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেশি বা ২০ শতাংশ কম পর্যন্ত দর প্রস্তাব করতে পারবে। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ছিল ৭১ টাকা। এ হিসেবে এর সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য দর দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ২০ পয়সা। আর সর্বনিম্ন দর হয় ৫৬ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সর্বোচ্চ দরেই সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনার প্রস্তাব ছিল। একমির আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই কোটি শেয়ার সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরে পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ শেয়ার কেনার প্রস্তাব জমা পড়েছে, যা সংরক্ষিত শেয়ারের ২৭৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, যে দামে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শেয়ার বিক্রি শেষ হবে সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করেছে কোম্পানিটি। ১০ কোটি টাকা কম উত্তোলন করবে পতেঙ্গা পাওয়ার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের বারাকা পাওয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার পুঁজিবাজারে শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহের পরিমাণ পরিবর্তন করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরিবর্তে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অর্থাৎ নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে কোম্পানিটি পূঁজিবাজার থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা কম উত্তোলন করতে পারবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার পরিশোধিত মূলধন ৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে ১০৯ কোটি ৫০ টাকায় উন্নীত করবে। এর জন্য কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার জন্য বিএসইসির কাছে আইপিও আবেদন করবে। এর আগে গত ৪ জুন ২০১৫ সালে ডিএসইতে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বারাকা পাওয়ারের সহযোগী বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড।
×