ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ বন্ধুর চিরবিদায়

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ বন্ধুর চিরবিদায়

বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই শ্রেষ্ঠ অর্জনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু ছিল ভারত। ভারতের সরকার, জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শ্রেষ্ঠ বন্ধুর অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। একাত্তরের এপ্রিল থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত যে ব্যক্তিটি পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের তৈরি করাসহ যৌথ বাহিনীর ফাইনাল অফেনসিভ অর্থাৎ চূড়ান্ত অভিযান ও আত্মসমর্পণের মতো জটিল, কঠিন কাজের সমন্বয় ও বাস্তবায়ন করেছেন তিনি হলেন ভারতের কৃতী সন্তান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকব ফার্জ রাফায়েল জ্যাকব (জেএফআর জ্যাকব)। যুদ্ধের শেষ প্রান্তে আমাদের স্বাধীনতার জন্য তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন তার মূল্য অপরিসীম। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর দুপুরের আগেই জেনারেল জ্যাকব আত্মসমর্পণের খসড়া দলিল নিয়ে ঢাকায় আসেন এবং পাকিস্তানী সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর মুখোমুখি হন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাকবের ভাষ্য মতে তিনি নিজেই নিজের মতো করে আত্মসমর্পণ দলিলের একটা খসড়া তৈরি করে ঢাকায় এসেছিলেন, যার একটা কপি তিনি পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল শ্যাম মানেকশ-এর কাছে। যুদ্ধের জয়-পরাজয়ের চেয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ওই দিনের ওই সময়ের সেই মুহূর্তগুলো ছিল ত্রুশিয়াল, অন্য কথায় অমূল্যÑ টু বি অর নট টু বি-এর মতো পরিস্থিতি। পরস্পরের দুই শত্রু সেনাপতি সামনাসামনি বসা। তা আবার চিরশত্রু ভারত ও পাকিস্তানের দুই জেনারেল। একদিন আগেও যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা হলে কে কাকে আগে গুলি করবে সেটাই হতো পরস্পরের লক্ষ্য। স্নায়ু শক্তির কঠিন পরীক্ষা। কোন অসাবধান মুহূর্তের একটি কথা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সব কিছু বরবাদ করে দিতে পারে। এই রকম উত্তেজনাকর মুহূর্তে দুই সেনাপতির সামনাসামনি নেগোসিয়েশনের জয়-পরাজয়ের বিষয়টির পেছনে কার কত সামরিক শক্তি আছে সে বিচার্যের থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, সাহস এবং আত্মবিশ্বাসের গুণাবলী। এই গুণাবলীর শ্রেষ্ঠত্বের জন্য জেনারেল জ্যাকব জেনারেল নিয়াজীকে সেদিন টেবিল নেগোসিয়েশনে পরাজিত করেছিলেন। এই কৃতিত্ব জেনারেল জ্যাকবের একারই। জ্যাকব যেভাবে চেয়েছেন, সব কিছু সেভাবেই হয়েছে, নিয়াজী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। রেসকোর্স ময়দানে প্রকাশ্য জনসমক্ষে ও যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের বিষয়ে নিয়াজীর প্রাথমিক আপত্তি জ্যাকব অগ্রাহ্য করেছেন। নার্ভের শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও নৈতিকতার জোর কত বিশাল হলে এটা করা সম্ভব। ওই ত্রুুশিয়াল মুহূর্তে আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাই ছিল মুখ্য বিবেচনা। আত্মসমর্পণ কোথায়, কোন্ স্থানে বা কার কাছে আত্মসমর্পণ করল। সেটা সাধারণ দৃষ্টিতে বড় কথা হওয়ার নয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর এখনকার বাস্তবতায় ভেবে দেখলে বোঝা যায় সেদিন রেসকোর্সে প্রকাশ্যে এবং যৌথ বাহিনী না হয়ে শুধু ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ হলে আজকে ইতিহাসের তার মূল্যায়ন কেমনভাবে হতো। নার্ভের ওপর প্রচ- চাপের মুহূর্তে এতবড় দূরদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছিলেন বাংলাদেশের আকৃত্রিম বন্ধু জেনারেল জ্যাকব। নিজের জীবন ও ক্যারিয়ারের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের মর্যাদাকে উর্ধে রেখেছেন। কোন সঙ্কীর্ণ দৃষ্টির মানুষের পক্ষে এটা করা সম্ভব ছিল না। সেদিন ওই সময়ে জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণে অস্বীকার করলে তার সম্ভাব্য পরিণতি কি হতে পারত সেটিকে একটু বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় কি অসাধ্য সাধনই না সেদিন করেছেন, ভারতের এই কৃতী সন্তান, বাংলাদেশের হৃদয়ের বন্ধু জেনারেল জ্যাকব। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে জনবল ও অস্ত্রশস্ত্র সরঞ্জামাদি তখনও অবশিষ্ট ছিল তা দিয়ে নিয়াজী ইচ্ছা করলে আরও বেশ কিছুদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারতেন। সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য আমেরিকার সপ্তম নৌবহর তখন বঙ্গোপসাগরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। যুদ্ধ বিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার উদ্যোগের বিরুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) ইতোমধ্যে তিনবার ভেটো প্রয়োগ করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ভারতের কাছে বার্তা আসছে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার জন্য নইলে একই বিষয়ের ওপর এতবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করা প্রচ- বিব্রতকর হচ্ছে। এমতাবস্থায় আরও সাত বা দশ দিন যদি যুদ্ধ চলত তাহলে নিশ্চয়ই আবার একাধিকবার আমেরিকার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপনের সুযোগ পেলে সে প্রস্তাব হয়ত সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হতো না। তখন সব পক্ষের জন্য স্ট্যাটাসকো বা স্থিতি অবস্থার সৃষ্টি হতো। আমেরিকাসহ পাকিস্তান পক্ষের আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী আলাপ-আলোচনা এবং রাজনৈতিক সমাধানের পথে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। তখন ওই পরিস্থিতিতে কি হতো তা এখন বলা কঠিন। তবে নিশ্চয়ই পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে ও জটিল হয়ে যেত। তীরে এসে তরী ডোবার আশঙ্কা ছিল। অন্যদিকে আত্মসমর্পণ বা যুদ্ধবিরতি কোনটাই না হলে এবং যুদ্ধ যদি আরও পাঁচ থেকে সাতদিন চলত তাহলে আমেরিকার সপ্তম নৌবহর সরাসরি যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পেত। সেক্ষেত্রে দ্রুত স্বাধীনতা প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। আমেরিকা একবার জড়িয়ে পড়লে কি হতে পারত তার উদাহরণ ভিয়েতনাম। দক্ষিণ ভিয়েতনামের তাঁবেদার সরকারকে রক্ষা করার জন্য উত্তর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমেরিকা ১৯৬৪ সালে সরাসরি ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আমাদের মতোই জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে আমেরিকার হস্তক্ষেপের কারণে আরও প্রায় ৯ বছর উত্তর ভিয়েতনামকে যুদ্ধ করতে হয়। ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। সুতরাং যুদ্ধে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারত ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়েছে ইতিহাসে; তবে সেদিনের ওই মুহূর্তে এককভাবে জেনারেল জ্যাকব যে ভূমিকা রেখেছেন তা সমগ্র অর্জনের চূড়ান্ত স্টোক হিসেবে কাজ করেছে। শেষ ভাল হওয়ায় সবাই ভাল হয়েছে। বাংলাদেশের এই শ্রেষ্ঠ বন্ধু জেনারেল জ্যাকব গত ১৩ জানুয়ারি দিল্লীর একটি হাসপাতালে ৯২ বছর বয়সে ইহকাল ত্যাগ করেছেন। পরিণত বয়সেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যথার্থভাবেই এই নির্মোহ বন্ধুর চির বিদায়ে শোক প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনসহ বাংলাদেশের অগণিত কৃতজ্ঞ মানুষ। কিন্তু এই মহান বীর ও শ্রেষ্ঠ বন্ধুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য গতানুগতিকতার বাইরে এসে আরও একটু প্রসারিত ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। প্রটোকল কি বলে তা আমার জানা নেই। তবে এমন অনেক কিছু আছে যার ওজন পরিমাপ করা বা উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে হলে প্রটোকলের উর্ধে ওঠা লাগে। জাতীয় স্বার্থ, বন্ধুর প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসার জন্য প্রায়শই রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও প্রটোকল ভাঙ্গা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরব, স্বাধীনতা সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মাহাত্ম্য রক্ষায় প্রটোকল বাধা হতে পারে না। অন্তত একজন চাকরিরত জেনারেলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত ছোট একটি দল সরাসরি দিল্লী গিয়ে এই বীরের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করা হলে বন্ধুর উপযুক্ত মর্যাদা দেয়া হতো। এখনও সময় আছে তাঁর সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানো যায়। এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিংহ অরোরার মৃত্যুতে সামান্য শোকবার্তাও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেননি। বাংলাদেশের মানুষ এত দীন নয়। কিন্তু ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বাংলাদেশের সিটিং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন দীনতার পরিচয় দিয়েছেন। অথচ পাকিস্তানের এক জেনারেলের মৃত্যুতে, যে জেনারেল একাত্তরে ঢাকায় ছিলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রটোকল ভেঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। এমন কলঙ্ক থেকে এখন বের হওয়ার সময় এসেছে। ভারতের প্রায় বিশ হাজার সেনা সদস্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিলেন। অথচ বছরে একটিবারের জন্যও তাদের আমরা মনে করি না। বিশ্বে অনেক উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও মিত্র বাহিনীর জন্য আমরা একটা স্মৃতিস্তম্ভ বানাতে পারিনি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আত্মসমর্পণের জায়গাটি সম্পর্কে এখনও আমরা কিছুই করতে পারলাম না, উচ্চ আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও। এতবড় আত্মসমর্পণের ঘটনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আর হয়নি। অথচ তার কোন চিহ্ন নেই, ভাবা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের পর জেনারেল জ্যাকব দীর্ঘ সময় বেঁচেছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কখনও বাংলাদেশকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ভোলেননি। তাঁর হৃদয় মন দিয়ে ভালবেসেছেন বাংলাদেশকে। তিনি হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় বীরত্ব গাঁথার জন্য। ভারত বন্ধু হিসেবে নিবেদিত ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মাননা নেয়ার জন্য ২০১২ সালে শেষবারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন জেনারেল জ্যাকব। ২০১২ সালের ২৭ মার্চ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আগের দিন ২৬ মার্চ ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একই জায়গায় দাঁড়ানোর সুবাদে বাংলাদেশের এই বীর বন্ধুর সঙ্গে আমার দুয়েকটি কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। হাত মিলাতেই মনে করিয়ে দিলেন তাঁর বয়স প্রায় ৯০ বছর। ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে জ্যাকব সবার হৃদয় স্পর্শ করেন। সম্মাননা হাতে তুলে নেয়ার সময় শুরু হয় হলভর্তি মানুষের করতালি। সে করতালি যেন আর থামতে চায় না। বাঙালীর হৃদয়ের ভালবাসায় জেনারেল জ্যাকব নন্দিত ও সিক্ত হতে থাকেন। তিনি হাত উঁচু করে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগান দিয়ে নিজেও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ২০১৪ সালের বিজয় দিবসে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামে যাওয়ার সুবাদে জেনারেল জ্যাকবের সঙ্গে আরেকবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সব অনুষ্ঠানেই তাঁর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অসুস্থতার জন্য সেবার ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের কোন অনুষ্ঠানেই তিনি আসতে পারেননি। সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ার পরেও শেষ দেখা হলো না। বাংলাদেশের এই শ্রেষ্ঠ বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে দুটি লাইন উচ্চারণ করে লেখাটি শেষ করছি- ‘তোমার যা দান তাহা রহিবে নবীন/আমার স্মৃতির আঁখিজলে’। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×