
লিভার এমন একটি অঙ্গ, যা আমাদের শরীরে নীরবে কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে যখন এর মধ্যে অতিরিক্ত চর্বি জমে, তখন শুরু হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)। এটি কোনো প্রাথমিক লক্ষণ না দেখালেও, ধীরে ধীরে নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তবে কিছু সাবtle লক্ষণ নজরে আনলে শুরুতেই শনাক্ত করা সম্ভব। চলুন জেনে নিই, লিভারে চর্বি জমার চারটি সাধারণ সতর্কবার্তা-
১. সবসময় ক্লান্ত অনুভব করা
যথেষ্ট ঘুমিয়েও যদি সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে, তাহলে তা লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। ফ্যাটি লিভার তার মূল কাজ—দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দেওয়া—সঠিকভাবে করতে পারে না, ফলে শরীরে টক্সিন জমে ক্লান্তি তৈরি করে। এই ধরণের ব্যাখ্যাতীত ও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তিকে হালকাভাবে নেবেন না।
২. পেট ও কোমরের চারপাশে চর্বি জমা
খাদ্যাভ্যাস না বদলালেও যদি ওজন বাড়তে থাকে, বিশেষ করে কোমরের চারপাশে মেদ জমে, তাহলে তা ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে। লিভারের স্বাভাবিক বিপাক ক্রিয়া ব্যাহত হলে দেহের চর্বি ঝরানো কঠিন হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
৩. ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তন
ঘাড়, বগল বা কুঁচকির ত্বকে যদি কালচে দাগ বা মাকড়সার মতো রক্তনালির চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে তা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। এই লক্ষণগুলোকে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. হজমে সমস্যা
চর্বিযুক্ত খাবার খেলেই যদি বমি বমি ভাব হয় বা পেটের ওপরের ডান পাশে চাপ বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে সেটিও হতে পারে লিভারে চর্বি জমার ইঙ্গিত। লিভার ঠিকভাবে কাজ না করলে পিত্ত উৎপাদন কমে যায়, যা চর্বি হজমে সমস্যা তৈরি করে।
ফ্যাটি লিভার শুরুতে খুব একটা সমস্যা তৈরি না করলেও, এটি ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এসব সূক্ষ্ম লক্ষণ নজরে এলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
রিফাত