ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দশ বছরের ব্যবধানের দেশে প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। অর্থনৈতিক শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালে শুমারিকালীন মোট অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টিতে। যা ২০০১ এবং ২০০৩ সালে পরিচালিত শুমারিতে মাত্র ৩৭ লাখ ৮ হাজার ১৪৪টি। ২০১৩ পর্যন্ত অর্থনৈতিক ইউনিটের বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১১০ দশমিক ৮৫ ভাগ। এছাড়া ১৯৮৬ সালে স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৯২৬টি এবং ২০১৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টিতে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে এটি প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান,অথনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ ও ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।সভাপতিত্ব করেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এনডিসি। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনেতিক শুমারির প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শহরে মোট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হচ্ছে, ২২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬টি। এর মধ্যে স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩২টি, অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান দুই লাখ পাঁচ হাজার ৯১০টি। অন্যদিকে গ্রামে মোট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৯টি, অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান দুই লাখ ৭৬ হাজার ৯৯৩টি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে খানাভিত্তিক (পরিবার) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ২০১৩ সালে খানাভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে খানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি, যা ২০০১ ও ২০০৩ সালে ছিল মাত্র তিন লাখ ৮১ হাজার ৫৫টি। অন্যদিকে ২০১৩ সালে শহরে পরিবারভিত্তিক অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৬ হাজার চারটি এবং গ্রামে পরিবারভিত্তিক আর্থিক ইউনিট হচ্ছে ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আরো বেশি সহযোগিতা দেওয়া দরকার। তাছাড়া হাওড় অঞ্চলসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়নে আরও বেশি প্রকল্প হাতে নিতে হবে। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রতিপদে পরিসংখ্যান বা তথ্য আমাদের কাজে লাগছে। আমার ভয় হচ্ছে আগামী ১০-১২ বছর আমরা মালয়েশিয়া বা ব্রাজিলের মতো জায়গায় যাব। তারপর আবার প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে কিনা। বাংলাদেশ গ্রাম ও শহরের পার্থক্য এখন নেই। খুব শিঘ্রই নাগরিক ও গ্রামীন যেটুকু পার্থক্য আছে তা মুছে যাবে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে কাজ করার এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে টিম হিসাবে কাজ করা।
×