ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার সরকারের প্রতি কার্টার সেন্টার

রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করবেন না

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২২ আগস্ট ২০১৫

রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করবেন না

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী লাখ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গাকে আগামী নবেম্বরের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত না করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ বছরের প্রথমদিকে এই সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে তাদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়া হয়। দ্য কার্টার সেন্টার আরও সতর্ক করে দেয় যে, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষী বক্তৃতা বিবৃতি আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার সময় ধর্মীয় উত্তেজনাকে উস্কে দিতে পারে। খবর এএফপির। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ গত এপ্রিল মাসে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে সাময়িক পরিচয়পত্রগুলো ফেরত নিতে শুরু করে এই উদ্যোগ তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার শামিল। ঘনিয়ে আসা নির্বাচন প্রসঙ্গে বুধবার প্রকাশিত কেন্দ্রের এক রিপোর্টে বলা হয়, তারা আশা করছে যে, শনাক্তকরণের ওইসব কাগজপত্র প্রত্যাহার করার প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সিদ্ধান্তের ‘পূর্ববর্তী যোগ্য ভোটাররা বিপুলসংখ্যায় ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।’ মিয়ানমারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমন্ত্রিত মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, মিয়ানমার ৮ নবেম্বরের নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য রাজনৈতিক পরিবেশের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করলেও এখনও গুরুত্বপূর্ণ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।’ মিয়ানমার যখন ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম অং সান সুচির বিরোধী দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে দেশব্যাপী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সে সময় বহু প্রশ্ন পর্যবেক্ষকদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। স্বচ্ছতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্ন এবং কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থার অভাব এ সবই ২০১১ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর শাসনাধীনে থাকা দেশটির ব্যাপারে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কার্টার সেন্টার সতর্ক করে দেয় যে নির্বাচনী প্রচারণায় ক্রমবর্ধমানভাবে মুসলিম বিদ্বেষী ভাষণ দেয়া হতে পারে। এসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকেই দেশটির ধর্মজনিত রক্তপাতের জন্য দোষারোপ করা হয়- যে দেশে কট্টরপন্থী বৌদ্ধভিক্ষুরা ক্রমবর্ধমানভাবে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাটি আরও বলেছে, সুচির বিরোধী দল এই উদ্বেগ তুলে ধরেছে যে, দলটিকে মুসলিমপন্থী হিসেবে চিত্রিত করাÑ যার মধ্যে আছে নোবেল বিজয়ীকে স্থ’ূলভাবে ছবি পরিবর্তন করে মাথায় স্কার্ফ পরিহিত অবস্থায় দেখানোর সোস্যাল মিডিয়ার প্রচারণাÑ তা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় যখন এগিয়ে আসছে, তখন জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় ভিত্তিতে ভোটারদের প্রতি আবেদন জানিয়ে সমর্থন গড়ে তোলার চেষ্টা চালাতে পারেÑ যা এরই মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনাকর রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।
×