স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের খেলা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বুধবার এই টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপের স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুর করেছে। বাফুফে আগেই খেলার তারিখ ও সময়সূচী উল্লেখ করে সেটা এএফসির কাছে পাঠিয়েছিল, বুধবার তা অনুমোদন করেছে এএফসি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের মোট ১০টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং উজবেকিস্তান আছে বাংলাদেশের সঙ্গে। ২৮ সেপ্টেম্বর লাল-সবুজদের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২, ৪ ও ৬ অক্টোবরের পরের তিন ম্যাচ শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশের প্রতি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
এ লক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জুলাইয়ের শুরুতে দল গঠনের জন্য চূড়ান্ত বাছাইয়ের আয়োজন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ের ৫৪ ফুটবলার এই পর্বে অংশ নেয়। যেখান থেকে ৩৫ জনকে বাছাই করা হয়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ২৩ জনকে নিয়ে করা হবে চূড়ান্ত দল। বর্তমানে ফুটবলারদের নিয়ে বাফুফে ভবনে অনুর্ধ ১৯ দলের আবাসিক ক্যাম্প চলছে। তারা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে বাফুফে আর্টিফিসিয়াল টার্ফে দলের কোচ সাইফুল বারী টিটুর কাছে। দলের গোলরক্ষক কোচ হচ্ছেন জার্মানির ক্রিস্টিয়ান শোয়েচলার। সহকারী কোচ হচ্ছেন মাহবুবুর রহমান লিটু।
উল্লেখ্য, ‘এ’ গ্রুপের স্বাগতিক হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। জুনে এএফসি জানায় শ্রীলঙ্কা এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হতে পারবে না। পাকিস্তানে এ আসর আয়োজন করা সম্ভব নয়, কেননা সেখানে নিরাপত্তার অভাব। নিয়ম অনুযায়ী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ভুটান, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানকে আয়োজক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। যদি কোন দেশই তাতে আগ্রহ প্রকাশ না করে, তাহলে টুর্নামেন্টটি কোন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে অংশ নেয়া সব দেশ মিলে এর খরচ বহন করতে হবে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ত সূচী এবং মাঠস্বল্পতার কারণে বাংলাদেশের এ টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়া সম্ভব নয় বলে প্রথমে অনাগ্রহ প্রকাশ করে বাফুফে। তবে ৮ জুলাইয়ের আগে তারা এ নিয়ে পর্যালোচনা বা বিবেচনা করে দেখবে বলে আভাস দেয়। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুষ্ঠান থাকায় ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এক সপ্তাহ কলম্বো স্টেডিয়াম ব্যবহার করা যাবে না। তাই গ্রুপের খেলা দুই সপ্তাহ এগিয়ে দিতে এএফসিকে অনুরোধ জানিয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ওই সময় অনুর্ধ ১৬ টুর্নামেন্ট চলবে বিধায় রাজি হয়নি এএফসি।
কিভাবে স্বাগতিক হলো বাংলাদেশ? এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, ‘আমরা সবকিছু বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত জন্য এএফসির কাছে আবেদন করি। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পর ভুটানও স্বাগতিক হতে গররাজি হয়। তালিকায় থাকে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান। তবে এএফসি চাইছিল সেন্ট্রাল ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশকেই। কেননা, উজবেকিস্তান বাদে গ্রুপের বাকি সবদলই সাফ অঞ্চলের। তাই ওই দলগুলোর আসা-যাওয়ার জন্য সুবিধা হবে। তাই তারা বুধবার বাংলাদেশকে স্বাগতিক হওয়ার অনুমোদন দেয়।’
সোহাগ আরও জানান, ‘প্রথমে আমরা ঠিক করেছিলাম টুর্নামেন্টের খেলা হবে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। কিন্তু সেখানে প্রিমিয়ার ফুটবল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ফুটবল খেলা চলমান বিধায় এবং ওই মাঠের মাঝখানে একটি ক্রিকেট পিচ থাকায় সেখানে এএফসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টকে এএফসি স্বীকৃতি দেবে না বিধায় আমরা শেষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকেই ভেন্যু হিসেবে বেছে নিই। যদিও বঙ্গবন্ধুতে ওই সময়ের আশপাশে একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। তারপরও আমরা সবকিছু সমন্বয় করেই আয়োজন করব।’ এই টুর্নামেন্টে ১০ গ্রুপে ৪৩ দেশ অংশ নিচ্ছে। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং পাঁচ সেরা রানার্সআপ দল অর্থাৎ মোট ১৫ দল খেলবে এই আসরের মূলপর্বে, যা অনুষ্ঠিত হবে বাহরাইনে। তবে যদি ‘এফ’ গ্রুপে বাহরাইন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা সেরা রানার্সআপ হয়ে যায়, তাহলে একটি দল বৃদ্ধি পাবে। তার মানে তখন মূলপর্বে অংশ নেয়া দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬-তে।
স্বাগতিক হিসেবে অনুমোদন পেল বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৩ জুলাই ২০১৫
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: