ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেতনার বিল গণহত্যা দিবস আজ ॥ নেই স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১৫ মে ২০১৫

কেতনার বিল গণহত্যা দিবস আজ ॥ নেই স্মৃতিসৌধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কেতনার বিল গণহত্যা দিবস আজ শুক্রবার। ১৯৭১ সালের এইদিনে বরিশালের উত্তর জনপদের তৎকালীন গৌরনদী ও বর্তমান আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ও কোদালধোয়া গ্রামের মধ্যবর্তী রাংতার উত্তর পাশের সু-বিশাল কেতনার বিলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আটটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ গণহত্যার স্থানে স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিসৌধ। ফলে এসব শহীদের শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু মুছে গেছে। এছাড়া শহীদের তালিকায়ও স্থান পায়নি কেউ। এমনকি দীর্ঘদিনেও সরকারীভাবে দিবসটি পালন উপলক্ষে নেয়া হয়নি কোন কর্মসূচী। তবে গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও স্থানীয়ভাবে রাংতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেল তিনটায় ‘গণহত্যা দিবস-৭১’ উপলক্ষে স্মরণসভা, শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মিলাদ ও প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে এবারই সর্বপ্রথম প্রকাশিত হচ্ছে ‘স্মরণিকা-৭১’। সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী রাজিহারের কাশিনাথ পাত্রের পুত্র অমূল্য পাত্র জানান, ওইসময় প্রাণ বাঁচাতে পালানো মানুষের ভিড়ে লাশ সৎকার বা কবর দেয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পরেও মৃত কূপ নামেখ্যাত পাত্র বাড়ির বেঁচে যাওয়া হরলাল পাত্র ও অমূল্য পাত্রের নেতৃত্বে হরলালের পুত্র সুশীল পাত্র, কেষ্ট পাত্র, রাধাকান্ত পাত্রসহ কয়েকজনে পরেরদিন তাদের হারানো স্বজনসহ প্রায় দেড় শতাধিক লোকের লাশ এনে তাদের পাত্র বাড়ির কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্ত করে একত্রে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। যার গর্তের সংখ্যা ছিল ছয়টি। বাকি লাশগুলো কেতনার বিলে শেয়াল, কুকুরের খাবার হয়ে যায়। বেশিরভাগ লাশ পচেগলে পড়ে থাকে বিলের মধ্যেই। শেয়াল, কুকুরে ওইসব লাশের গন্ধ ছড়াতো। নারায়ণগঞ্জে ইমন হত্যা মামলায় আল আমিনের ১০ বছরের জেল নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ১৪ মে ॥ বন্দর উপজেলার কামতাল এলাকার কিশোর রফিকুল হাসান ইমন হত্যা (১৩) মামলার রায়ে মামলার অন্যতম আসামি চাচাত ভাই আল-আমিনকে দশ বছরের সাজা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদের আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নবী হোসেন জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ পেতে ইমনকে অপহরণ করা হয়। ওই টাকা না পেয়ে ওইদিন রাতেই ইমনকে হত্যার পর মালিবাগে একটি মুরগির খামারে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় ইমনের মা ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। নিহত রফিকুল হাসান ইমনের পিতা নূরু মিয়া মরিশাস প্রবাসী। ইমনের পরিবারের কাছ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে তার চাচাত ভাই ও তাদের দোসররা ইমনকে অপহরণ করে। কিন্তু অপহরণের পর ইমন অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় তারা ইমনকে হত্যা করে। মামলার বাকি আসামি সাঈদুল, জীবন, তোফাজ্জল ও জামানের বিচারের ব্যাপারে আগামী ১ জুন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদের মধ্যে তোফাজ্জল পলাতক রয়েছে।
×