
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সমাজ সেবা অফিসের কর্মচারী পরিচয়ে ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে মঈনুল ইসলাম (২৩) নামের এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে জনতা।
ওই যুবক ভুয়া কর্মচারী সেজে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দুঃস্থ মানুষের ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকালে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। পরে সন্ধ্যার দিকে তাকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত ওই যুবক নিজেকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছিলেন। ওই যুবক বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে কিছু দুঃস্থ ব্যক্তির কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ ফোনে তাদের ছবি তুলে অর্থ আদায় করছিলেন। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং সদুত্তর না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে গণধোলাই দেন।
পরে ওই ইউনিয়নের সমাজসেবা অফিসের মাঠ কর্মী বিপুল মিয়াসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতারক মঈনুল ইসলামকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় ওই যুবকের মুঠোফোনে উপজেলার বুড়াবুড়ি, হাতিয়া ও ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের দুঃস্থ ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও তাদের ছবি দেখতে পান। এরপর প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন।
এদিকে গণধোলাইয়ের কারণে প্রতারক মঈনুল অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সন্ধ্যার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আটককৃত মঈনুল ইসলাম উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের কিশামত মালতিবাড়ী এলাকার নুর ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
রাজু