
ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
কেশবপুর উপজেলার বগা মাটপাড়ায় অবস্থিত আল্লার দান ফার্মেসি অ্যান্ড চিকিৎসালয়ে ভূয়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে আসমাতুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন জানতে পারে কবিরাজ মতিয়ার রহমান বিশ্বাসের ছেলে আসমাতুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নির্ভরযোগ্য চিকিৎসকের মতোই চেম্বার খুলে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। অথচ তার নেই কোনো চিকিৎসা প্রশিক্ষণ বা ডাক্তারি ডিগ্রি। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ নেওয়াজের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে ছিলেন কেশবপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম, পেশকার জাহিদ হাসান সুভন এবং কেশবপুর থানা পুলিশের একটি দল।
অভিযানে গিয়ে তারা আসমাতুল্লাহর চেম্বারে প্রমাণ পান যে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছাড়াই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আসমাতুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার সাইনবোর্ড লাগিয়ে নানা রোগের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। অনেকেই তাকে আসল ডাক্তার ভেবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সম্প্রতি তার কাছে ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে জ্বরের চিকিৎসার জন্য আনা হলে ভুল চিকিৎসার কারণে ওই শিশুটি মারা যায় বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠেছে। এই মৃত্যুর ঘটনাই ভূয়া ডাক্তার প্রসঙ্গে প্রশাসনের নজরে আনতে সহায়ক হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ নেওয়াজ বলেন, অবৈধভাবে চিকিৎসা পেশা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জনস্বার্থের জন্য এটি মারাত্মক হুমকি। এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেশবপুর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আসমাতুল্লাহর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা সনদ নেই। তিনি শুধু প্রাচীন কায়দায় কিছু ওষুধর নাম জানেন। অথচ রোগ নির্ণয়, ডোজ, চিকিৎসা প্রোটকল সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই।
নোভা