ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

কলাপাড়ায় চাঙ্গা ইলিশ কেন্দ্রীক অর্থনীতি: সরবরাহ বেড়েছে অনেক ছোট ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ৫ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১৯:৩৬, ৫ আগস্ট ২০২৫

কলাপাড়ায় চাঙ্গা ইলিশ কেন্দ্রীক অর্থনীতি: সরবরাহ বেড়েছে অনেক ছোট ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে

মধ্য উপকূলের পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুরে ইলিশের সরবরাহ বহুগুনে বেড়েছে। জেলেরা সাগরবক্ষ থেকে প্রত্যাশিত ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। তাঁদের চোখেমুখে বিরাজ করছে স্বস্তির ছাপ। গত ১১ জুন নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকে টানা দূর্যোগে জেলেরা সাগরে গিয়ে দফায় দফায় খালি হাতে ফিরতে ফিরতে লোকসানের বোঝায় কাহিল হয়ে ছিলেন। অবশেষে সোমবার থেকে ইলিশের দেখা মেলায় জেলে, ট্রলার মালিক, আড়তমালিকসহ মোকামের এ পেশা সংশ্লিষ্টদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খাপড়াভাঙা নদীর দুই পাড়ের বৃহৎ ইলিশের মোকামে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। গোটা এলাকায় কর্মমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। যেন প্রাণ ফিরেছে দখিণের এই ইলিশের মোকামে। সাগরপারের এই জনপদে ইলিশ কেন্দ্রীক অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

নম্বরবিহীন মাঝারি বোটের মাঝি আলম হাওলাদার মঙ্গলবার সকালে জানান, ছোট-বড় মিলে ৯৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে তাঁদের জালে। এবছরে এর বেশি ইলিশ একবারে তারা আর পায়নি। মালিক খলিলুর রহমান জানালেন, ২২ হাজার টাকা মণ দরে কুড়ি লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। মাছের সাইজ তেমন বড় নয়। তবে বড় বোটের মাঝি সিদ্দিক বেপারী জানালেন, তিনি মাঝারি ও বড় সাইজের ৪২ মণ ইলিশ বিক্রি করেছেন ২৬ লাখ টাকায়। এভাবে ঘাটে যেসব ট্রলার ফিরছে কমবেশি ইলিশ নিয়ে সবাই ফিরছেন। সকলের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তিবোধ লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় হাটবাজারেও বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কমবেশি ছোট-বড় ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মহিপুর আড়তমালিক ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, গতকাল সোমবার থেকে অধিকাংশ ছোট-বড় ট্রলারের জেলেরা কমবেশি ইলিশ নিয়ে ফিরছে। তবে চার-পাঁচটায় কেজি সাইজের ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। তবে গভীর সাগরে যাওয়া লাল জালের ট্রলারে ধরা পড়া ইলিশের সাইজ মাঝারি ও বড়। দামও বেশি। তবে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এক কেজি সাইজের ইলিশের দাম এখনো লাখ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও ছোট সাইজের ইলিশের দাম ২২-২৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও জেলেরা মণ প্রতি ওজনে ৪২-৪৩ কেজি নেওয়ায় ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা দাড়িপাল্লায় ওজন বাদ দিয়ে ডিজিটাল মিটার দিয়ে ওজন করা এবং ৪০ কেজিতে মণ বিক্রি কার্যকরের দাবি জানান।

 

রাজু

আরো পড়ুন  

×