ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

কাপ্তাই বাঁধের পানি চুড়ান্তসীমায়  জলকপাট ফের দেড় ফুট খুলে দিয়েছে 

 নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ৬ আগস্ট ২০২৫

কাপ্তাই বাঁধের পানি চুড়ান্তসীমায়  জলকপাট ফের দেড় ফুট খুলে দিয়েছে 

ছবি: সংগৃহীত

কাপ্তাই বাঁধের  অধিক ঝুঁকি এড়াতে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১১ টা থেকে ১৬ জলকপাট ফের  দেড় ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে। এতে করে  প্রতি সেকেন্ডে ২৯ হাজার  কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ষফুলিতে পড়ছে। হ্রদ এলাকায়  বৃষ্টি অব্যাহত থাকা ও ভারতের মিজুরাম থেকে নেমে আসা  প্রবল পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে  পানি চাপ মুহূর্ত্রে মুহূর্তে  বাড়ছে।

কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বাঁধকে বিপদ মুক্ত রাখরেত   নতুন করে আরও ১ ফুট পানি ছাড়া হচ্ছে । এর আগে ৬ ইঞ্চি পানি ছাড়া হয়েছিল। এ নিয়ে মোট দেড় ফুট করে বাধেঁর ১৬টি জলকপাট খোলা হয়েছে বলে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।

তিনি বলেন, অব্যাহত বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্রদের পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করছে। যে কারণে সেকেন্ডে ২৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। তবে  ভাটি অঞ্চলের মানুষের আতংকিত না  হবার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে জরুরী ভিত্তিতে ১৬ জলকপাট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক সেকেন্ড পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছিল ।  এর মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.৫৫  এমএসএল অতিক্রম করে চুড়ান্ত বিপদসীমায় পৌছার কারণে  আরও ১ফুট পানি স্পিল ওয়ে দিয়ে ছাড়া হচ্ছে। বাঁধে পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১০৯ এমএসএল। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, হ্রদে পানি বাড়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই বর্তমানে পুরোপুরি সচল রয়েছে। দেড়ফুট পানি ছাড়ার করেণে ২৯ হাজার কিউসে পানি বাঁধ থেকে নিষ্কাশন হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫ ইউনিটের টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন জন্য সেকেন্ডে আরোও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এনিয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৬১ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে বলে সূত্রটি জানায়। 

উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিও টানা বর্ষণের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি  পাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধ বিপদসীমায় পৌছার  পাশাপাশি রাঙ্গামাটি জেলা শহরসহ  লংগদু  বাঘাইছড়ি ও বরকল উপজেলার  নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে  হাজারও  ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে প্রচুর  ফসলি জমি ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
 

তাসমিম

আরো পড়ুন  

×