ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকারি গাড়ি ভাঙচুর শিক্ষার্থী-পুলিশসহ আহত শতাধিক  

সচিবালয় এলাকায় শিক্ষার্থী পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২২ জুলাই ২০২৫

সচিবালয় এলাকায় শিক্ষার্থী পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ করে

শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে সচিবালয়ে থেকে বের করে দেয়। এতে সচিবালয়ের বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উভয়ের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে অন্ততপক্ষে ৮৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের এক নম্বর গেট দিয়ে  ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা ভেতরে ঢুকে ৭ নম্বর ভবনের পেছন দিয়ে পূর্বদিকে যেতে থাকেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দিয়েও আটকাতে পারেননি। এ সময় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ভেতরে গাড়ির ভাঙচুর শুরু করে। এতে পুলিশের গাড়িসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এরপর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। পরে এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগি¦দিক ছুটতে শুরু করে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা আহত হন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিক্ষার্থীদের সচিবালয় থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেন। হুড়াহুড়ি করে সচিবালয় থেকে বের হতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেরই জুতা খুলে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চত্বরে প্রবেশের গেট ও ৭ নম্বর ভবনের দক্ষিণ পাশে অনেক জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে শিক্ষার্থীরা সচিবালয় থেকে বের হয়ে এক নম্বর গেটে অবস্থানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হন। এরপর পুলিশ সচিবালয়ের সামনের সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের দিকে অবস্থান নেন। জিরো পয়েন্টের দিকে পুলিশ কয়েক দফা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ার মুখে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তানের বিভিন্ন ওলিগলি ও সড়কে অবস্থান করছেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। ফলে গুলিস্তান এলাকায় থমথমে অবস্থান বিরাজ করছিল। এরপর সচিবালয়ে সামনের আব্দুল গনি রোডে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
সচিবালয়ে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর ॥ শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে একদল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে সরকারি গাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের লাঠিচার্জ করে সচিবালয় থেকে বের করে দেয়। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পার্কিং করা প্রায় ১০টি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সচিবালয়ের সামনের সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের এক নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে পড়ে। তারা ভেতরে ঢুকে ৭ নম্বর ভবনের পেছন দিয়ে পূর্বদিকে যেতে থাকেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দিয়েও আটকাতে পারেননি।
সচিবালয়ের কর্মচারীরা জানান, শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। এরপর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগি¦দিক ছুটাছুটি করে। এ সময় পুশিল সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে তাদের সচিবালয় থেকে বের করে দেয়। শিক্ষার্থীরা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এর মধ্যে পুলিশের গাড়িও ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিক্ষার্থীদের সচিবালয় থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেন।
শিক্ষার্থীরা সচিবালয় থেকে বের হয়ে এক নম্বর গেটে অবস্থানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হন। এরপর পুলিশ সচিবালয়ের সামনের সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পিছু হটে যায়।
এরপর শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের দিকে অবস্থান নেন। জিরো পয়েন্টের দিকে পুলিশ কয়েক দফা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সচিবালয়ের সামনের আব্দুল গনি রোডে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে সচিবালয় এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেয়। এ ছাড়া উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে ছিল। শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেওয়ায় সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর ফলে সচিবালয় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এত বড় দুর্ঘটনার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা বাতিল করতে গড়িমসি করেছে। তারা গভীর রাতে পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই ঘোষণাও দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা। ব্যর্থতার দায়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।
পরে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন। এছাড়া ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে সচিবালয়ের ভেতর এবং বাইরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থান ছিল।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী জনকণ্ঠকে জানান, সোমবার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন কলেজের অনেক শিক্ষার্থী মারা গেছে। এমন দুঃখজনক ঘটনার পরও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। হঠাৎ করে রাত ৩টার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকালে পরীক্ষা দিতে বের হয়ে জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এমন দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের জন্য আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ চাই। বিক্ষোভে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। সচিবালয়ের সামনের গেটে বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় আগে থেকেই সেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা মোতায়েন ছিল।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এত বড় দুর্ঘটনার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা বাতিল করতে গড়িমসি করেছে। তারা গভীর রাতে পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই ঘোষণাও দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা। ব্যর্থতার দায়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।
শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন। এছাড়া ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে সচিবালয়ের ভেতর এবং বাইরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকার বাহিনী সতর্ক অবস্থান নেয়।
ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী জোনায়েদ আহমেদ জানান, মাইলস্টোন কলেজে এত বড় বিপর্যয়ের পরও আজকের এইচএসসি পরীক্ষা প্রথমে স্থগিত করা হয়নি। রাত তিনটার দিকে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে? সকালে ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি শুনেছেন পরীক্ষা স্থগিত। এমন অবিবেচক শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে আর দেখতে চান না। তাই তাদের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এসেছেন।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীর তানভীর জানান, গোপালগঞ্জের সামান্য কারণে এইচএসসি পরীক্ষার স্থগিত করেছে। অথচ কালকে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, বারবার বলার পরও তারা এইচএসসি পরীক্ষার স্থগিত করেনি। 
রাত তিনটা বাজে যখন স্থগিত করেছে ততক্ষণের সব শিক্ষার্থীরা জানতেও পারেনি। সকালবেলা অনেকে পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছে। এগুলো স্পষ্ট দায়িত্ব অবহেলা এবং একঘেয়েমি। আমরা এই শিক্ষা সচিব, শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই। তাদের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে ঘরে ফিরে যাব না।
এ ছাড়া আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ফটকে এসেছে। যারা এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এসেছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করতে যায়। সেখান থেকে বেলা দেড়টার দিকে সচিবালয়ের সামনে আসে তারা। 
ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, নূর মোহাম্মদ কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, কমার্স কলেজ, আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মিরপুর কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ আরও কিছু শিক্ষার্থী এই ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেয়। 
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আরেফিন জানান, প্রশ্নপত্র ভুল, দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন কারণে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ চাইছি। শিক্ষা বোর্ড সংক্রান্ত সব দায়িত্বশীলকে বহিষ্কার করতে হবে। সব শিক্ষা বোর্ডে একই প্রশ্নের পরীক্ষা হতে হবে। মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন আরেফিন।
 

প্যানেল মজি

×