
ছবি: সংগৃহীত
গতকালের বড় ধরনের সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে আজ কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস দেখা গেলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলাতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো তৎপর রয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ শহরের অফিসার্স মেসে অবস্থান করছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিকেলের মধ্যে তারা একটি আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং দিতে পারেন।
গতকালের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের আজই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর জনমনে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল, তা আজ বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। গতকাল যেখানে রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল, আজ সেখানে মানুষজন জরুরি প্রয়োজনে বের হতে শুরু করেছেন। দোকানপাট ধীরে ধীরে খুলছে, যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খোনাপাড়া এলাকায় এখনো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। তারা মহাসড়ক খোলা রাখতে কাজ করছে এবং প্রত্যেকটি যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে যাতে কোনো অগঠিত বা সন্দেহজনক তৎপরতা চালানো না যায়।
এখনো গ্রেফতারের আতঙ্ক পুরোপুরি কেটে যায়নি। মানুষজন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার চেষ্টা করলেও সর্বত্র একটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ছামিয়া