ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

অপহরণের ১২ দিন পর পাহাড়ি ছড়ায় মিলল মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ 

হাছানুল করিম, খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৬ জুলাই ২০২৫

অপহরণের ১২ দিন পর পাহাড়ি ছড়ায় মিলল মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ 

দৈনিক জনকণ্ঠ

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার দুর্গম বুদংপাড়া এলাকা থেকে অপহরণের ১২ দিন পর মো. সোহেল (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল। উদ্ধারের সময় মরদেহটির হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ছদুরখীল ওয়ার্ডসংলগ্ন একটি পাহাড়ি ছড়ার পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয় কৃষক অংগ্যজাই মারমা। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়দের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ টহলদল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত সোহেল ছদুরখীল এলাকার আবদুল জলিল ও রাবেয়া আক্তারের একমাত্র ছেলে এবং স্থানীয় শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সোহেল। পরদিন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার নানার মোবাইলে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ৬ জুলাই মানিকছড়ি থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন সোহেলের নানা আবদুর রহিম।

মামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন কসমকারবারি পাড়ার সম্বু কুমার ত্রিপুরা (৩৬), গোরখানা এলাকার মো. মাঈন উদ্দিন (২১) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২৮)। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেলকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, ‘অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র সোহেলের মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি এবং ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

পুলিশ জানায়, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হ্যাপী

×