
দৈনিক জনকণ্ঠ
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ক্যাচাথুই মারমার বিরুদ্ধে গুরুতর নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠাছে। অভিযোগ তদন্তে সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী টিম তার অফিসে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন নানিয়ারচর জোন কমা-র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান । তার সঙ্গে ছিলেন জোন স্টাফ অফিসার মেজর মো. আসিফুর রহমান, ও নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজির আলম।
ওসি এল এসডির বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাৎ ,ভেজাল চাল বিতরণ ,চেক জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মেয়ের নামের লাইসেন্স করে ব্যবসা পরিচালনাসহ একাধিক গুরুত্ব অভিযোগ রয়েছে।
অভিযানের সময় এই সব নানা অনিয়মের বহু প্রমাণও মিলেছে বলে অভিযান পরিচালনাকারী সেনা কর্মকর্তারা জানায়। রোববার খাদ্য গুদামে সরজমিনে পরিদর্শনের সময় অনেক চালের বস্তায় ওজনে ঘাটতি পাওয়া যায়। নিম্নমানের আতপ চালের বস্তা সরকারি চাল হিসেবে মজুদ করা ছিল।
এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নানিয়ারচরের ইউএনও, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, দুদক ও থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। যারাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। বলে হুঁশিয়ার করেছেন। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী লে. কর্নেল মশিউর রহমান।
অভিযানের ঘটনাটি সোমবার প্রকাশ পায়। ভিজিডি, ভিজিএফ ও টিসিবির চালের বস্তায় নিম্নমানের চাল থাকে, যা খাওয়ার অযোগ্য বলে ওই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে উত্তম চাকমা নামে এক এলাকাবাসী জানায়।
তিনি সরকারি চালের বদলে স্থানীয় বাজারের আতপ চাল কিনে গুদামে রাখা হয় এবং সেগুলোই বিতরণ করা হয়ে তাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া চালের বস্থায় ২/৩ চাল ক থাকে এবং চাল পরিবর্তন করে আতপ চাল বিতরণ, মেয়ের নামে নিজের চাল ব্যবসা পরিচালনা, চেক জালিয়াতি ও অনৈতিক লেনদেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন বহাল সেখানে তবিয়তে রয়েছে।
এই ঘটনা পাহাড়ে প্রশাসনিক দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের ভয়াবহ বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে, যা গোটা অঞ্চলের জন্য অশনি সংকেত। দুর্নীতির এই চক্র ভেঙে দিতে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে সেনাবাহিনী।
হ্যাপী