
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, কম পানি পান ও অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ এর অন্যতম কারণ। অথচ চাইলে দৈনন্দিন জীবনের ছোট পরিবর্তনেই কিডনির সুরক্ষা সম্ভব।
অনেকেই ভেবে নেন শুধু প্রোটিন খেলেই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু বাস্তবে অতিরিক্ত লবণ এবং পানির অভাব কিডনি সমস্যার নীরব কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অতিরিক্ত লবণ: নীরব ঘাতক
দৈনিক ৫ গ্রাম (১ চা চামচ) লবণ গ্রহণই যথেষ্ট, কিন্তু আমাদের খাদ্যতালিকায় থাকে তার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি।
লবণ শরীরের সোডিয়াম ভারসাম্য বিঘ্ন করে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি ফিল্টারিংয়ে চাপ সৃষ্টি করে।
পর্যাপ্ত পানি: কিডনির রক্ষাকবচ
প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পর্যাপ্ত পানি ইউরিনের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ সহজে বের করে দেয়, ফলে কিডনি চাপমুক্ত থাকে।
বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রোদে কাজের সময় বারবার পানি পান করা জরুরি।
কীভাবে গড়ে তুলবেন সঠিক অভ্যাস?
খাবারে লবণ আলাদাভাবে যোগ না করা
প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, প্যাকেট স্যুপ, ইনস্ট্যান্ট নুডলস) এড়িয়ে চলা
সঙ্গে পানির বোতল রাখা এবং প্রতি ঘন্টায় অন্তত এক গ্লাস পানি পান করা
রঙ গাঢ় ইউরিন দেখা গেলে বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব
কোন লক্ষণগুলো হলে সতর্ক হবেন?
ঘন ঘন কিন্তু অল্প ইউরিন
পায়ের গোড়ালি বা চোখের নিচে ফোলা
অতিরিক্ত ক্লান্তি বা বমি ভাব
কোমরে এক বা দুই পাশে ব্যথা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হওয়ার আগে সচেতনতা জরুরি। কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস বা প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় থাকে না। তাই সময় থাকতেই দৈনন্দিন অভ্যাসে আনুন পরিবর্তন। কম লবণ, বেশি পানি আর সচেতন জীবন—এই তিনে মিলেই শুরু হতে পারে কিডনি রক্ষার সঠিক পথ। এখনই শুরু করুন।
ফারুক