ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

কলাপাড়ায় স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে, নেই কোন মেডিকেল অফিসার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৪ জুলাই ২০২৫

কলাপাড়ায় স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে, নেই কোন মেডিকেল অফিসার

সাগরপারের জনপদ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এখানে উপজেলা সদরের ৫০ শয্যার হাসপাতাল ও কুয়াকাটায় ২০ শয্যার হাসপাতালে চিকিসক রয়েছেন মাত্র তিন জন। কাগজপত্রে সাত জন থাকলেও এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সাইফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্তিতে কর্মরত আছেন। ডাঃ পলি সাহা এ বছরের ২০ মে থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন।

সহকারী সার্জন সৈয়দ আশিকুর রহমান শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গাজীপুরে সংযুক্তিতে কর্মরত আছেন। এছাড়া আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুপ্রিয়া দাস কাগজপত্রে কুয়াকাটায় পদায়ন থাকলে সে গত পহেলা জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ছুটিতে আছেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ কামরুন্নাহার মিলি ও ডাঃ শরীফ শায়লা ইসলাম কর্মরত রয়েছে। এভাবে দুইজন জুনিয়র কনসালটেন্ট নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। বাস্তবে কোন মেডিকেল অফিসার কর্মরত নেই। ডাক্তারসহ ২৪৬টি পদের মধ্যে ১০৪টি পদ শূণ্য রয়েছে।


১২ টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় তিন লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় তিনজন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন কলাপাড়ায়। এরমধ্যে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এখানকার কলাপাড়া ছাড়াও পাশর্^বর্তী তালতলী, আমতলী ও রাঙ্গাবালীর অসংখ্য রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন। ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী জানান, গড়ে প্রতিদিন হাসপাতালের বাহির্বিভাগে ৪০০-৪৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এছাড়া আন্ত: বিভাগে দৈনিক ১১০-১২০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। এছাড়া এ উপজেলায় পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, মহিপুর মৎস্য বন্দরসহ হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবা নেওয়ার একমাত্র হাসপাতাল। একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়ে কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতাল নামে মাত্র সচল রয়েছে। মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোন চিকিৎসক নেই। ফলে এখানকার গুরুত্বপূর্ণ এই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।


এসব পদের মধ্যে দ্রুত চিকিৎসক পদায়ন না করলে কলাপাড়া উপজেলার তিন লক্ষাধিকসহ আশপাশের আরও লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা বন্ধের উপক্রম হয়েছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রসাদ অধিকারী জানান, জরুরি ভিত্তিতে কমপক্ষে ৬-৮ জন মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন পদায়নের জন্য তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে গত ১২ জুলাই একটি চিঠি দিয়েছেন।

আঁখি

×