
২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবারও বান্দরবান জেলায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুল’। এ স্কুলের জেনারেল শাখা থেকে ৯৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১৬ জন। এছাড়াও এই স্কুলের রয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভোকেশনাল শাখা। সেখান থেকে দুই ট্রেডে ৫১ জন এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে একজন ছাড়া সবাই উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায়।
এদিকে জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আলীকদম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও তৃতীয় হয়েছে বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট স্কুল। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ফলাফল ঘোষনা করে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলায় ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস.এস.সি ৪টি, মাদরাসার দাখিল ও ৫টি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৫৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৮৮৯জন। এর মধ্যে মাদ্রাসা পর্যায়ে ২৪৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ১৯৩ জন, ফেল করে ৫১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১৭ জন। স্কুল পর্যায়ে ১ হাজার ১১৪পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ৬৯৬জন, ফেল করেছে ৪১৮জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ জন। উপজেলার স্কুল পর্যায়ে ৪টি ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ১টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ফলাফলে সবচেয়ে বেশি খারাপ করে সরই উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫জন। কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। পাশের হার শতকরা ২৬.৭৯ জন।
শতভাগ উত্তীর্ণ প্রসঙ্গে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুর হোসেন বলেন, লেখাপড়া ও খেলাধুলার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করে। ফলে তারা সহজে লেখাপড়ায় মন দিতে পারে। আর স্কুলটি আবাসিক হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর শিক্ষকদের আন্তরিক চেষ্টা তো আছেই।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের আন্তরিক পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যাবসায়ের ফলশ্রুতিতে এ ফলাফল অর্জিত হয়েছে।
বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাশের হারে শীর্ষ স্থান অর্জন করে লামা উপজেলার ভারমূর্তি উজ্জ্বল করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। স্কুলগুলোর এ র্যাংকিং করা হয় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা, জিপিএ-৫ ও পাশের হারের ভিত্তিতে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। এখান থেকে এ পর্যন্ত আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে বলে জানান কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র শিক্ষা সেবা কার্যক্রমের ইনচার্জ ছালেহ আহমেদ।
রাজু