ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

চরম দুর্ভোগে ধরলা নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ

রাজু মোস্তাফিজ,কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১২:৪০, ১১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১২:৪২, ১১ জুলাই ২০২৫

চরম দুর্ভোগে ধরলা নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ

ছবি: জনকণ্ঠ

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির কাউয়াহাগার ঘাটে ধরলা নদীর উপর একটি কাঠের সেতু বরাদ্দ হলেও নেই কোনো কার্যক্রম। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ধরলা নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। কাউয়াহাগার ঘাটের ধরলা নদীর দুপাশে কয়েকটি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চরম কষ্টে পারাপার করে আসছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিশু, শিক্ষার্থী আর নারীরা।

এই ঝুঁকির কথা ভেবে সদর উপজেলা প্রশাসন প্রায় ৬ মাস আগে একটি কাঠের সেতু নির্মাণের জন্য কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দ করে। যথারীতি কাজও শুরু হয়। দুপারের মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়, তাদের যাতায়াতের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সেতুটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কাউয়াহাগা ঘাটের ধরলা নদীর পাশ দিয়ে প্রায় ৪টি গ্রামের মানুষ নদী পেরিয়ে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীরা চরম কষ্টে পড়েন। বাধ্য হয়ে অনেকেই পানিতে ভিজে নদী পার হন।

মানুষের এমন দুর্ভোগ দেখে উপজেলা প্রশাসন এগিয়ে আসে। নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারও করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি কাঠের সেতু। গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে, জুন ক্লোজিং পেরিয়ে গেলেও কাঠের সেতু নির্মাণ হয়নি। ধীর গতিতে চলছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ।

গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন— যদি বর্ষার আগেই ব্রিজটির কাজ শেষ না হয়, তাহলে চরম কষ্টে পড়বে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। আশেপাশের গ্রামগুলো হচ্ছে সন্যাসী, সারডোব, জয়কুমার, ছাট কালুয়া।

স্থানীয় চর এলাকার মানুষ জানান, এই ব্রিজ অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি কেন জানি না। কাজ বন্ধ। বর্ষাকাল আসছে। কিভাবে বর্ষাকালে নিজ গ্রামে যাতায়াত করবো জানি না। বর্ষার আগে কাজটি শেষ হলে অনেক ভালো হতো। নদীর ওপারে একটি স্কুল আছে, এখানে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়।

স্থানীয় সমাজসেবক মাইদুল ইসলাম জানান, ধরলার পাড়ের দুই পাশে ৩ থেকে ৪ শত পরিবার বসবাস করে। এখানকার লোকজন পারাপার হন নৌকা অথবা সাঁতার কেটে। মানুষের কষ্ট দেখে জেলা প্রশাসক একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেটিও বন্যার আগে শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু অর্ধেক কাজ হবার পর বন্ধ হয়ে আছে।

স্থানীয়দের মতে, যত দ্রুত সম্ভব কাজটি শেষ করার জন্য জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিলে দু’পারের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে, মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

মুমু ২

×