
ছবি: সংগৃহীত
লিবিয়ার মাফিয়াদের কাছে বিক্রি হওয়া এবং নির্যাতনের শিকার ১৬২ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই) কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, কর্মসংস্থানের আশায় তারা লিবিয়া গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কাজ না পেয়ে ইউরোপে পাঠিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দালালচক্র তাদের নানা কৌশলে বন্দি করে রাখে। পরবর্তীতে তাদের দেশটির বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
তারা আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশি দালালরা লিবিয়ার স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রথমে তাদের 'মিলিশিয়া'র কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর মিলিশিয়ারা আবার তাদের ‘বাংলা মাফিয়া’দের হাতে তুলে দেয়। এই মাফিয়ারা পরিবারের সদস্যদের ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে নেয়।
এক ভুক্তভোগী বলেন,
“আমরা বুঝতে পারিনি কী ফাঁদে পড়েছি। রিজিকের তাগিদে গিয়েছিলাম। লিবিয়া যে এতটা ভয়াবহ, সেটা কেউ বোঝাতে পারেনি।”
আরেকজন জানান,
“এক শহর থেকে আরেক শহরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তারা আমাদের ধরে ফেলে। এরপর বিক্রি করে দেয় মিলিশিয়া বাহিনীর কাছে, তারাও আবার আমাদের বাংলা মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়।”
বর্তমানে এই ঘটনায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এতবড় মানবপাচার চক্রের পেছনে থাকা মূল হোতারা এখনও অধরা কেন? প্রশাসনের ভূমিকাও এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে।
ছামিয়া