ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রেন-বাসের টিকিট মিলছে না, কর্মে ফেরা নারী পুরুষ ঝুঁকি নিয়ে চলছে পণ্যবাহী ট্রাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদমদীঘি, বগুড়া

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:৫২, ১৪ জুন ২০২৫

ট্রেন-বাসের টিকিট মিলছে না, কর্মে ফেরা নারী পুরুষ ঝুঁকি নিয়ে চলছে পণ্যবাহী ট্রাকে

উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশনে টিকিট কেটেও প্রচন্ড ভিড়ের কারনে ট্রেনে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে যাত্রীরা। ১৫/২০ মিনিট বিরতিতে উঠতে না পেরে অনেক যাত্রী নির্ধারিত ট্রেন মিস করছে। এদিকে বেশি দাম দিয়েও মিলছে না বাসের টিকেট। বাধ্য হয়ে শত শত নারী পুরুষ তাদের পরিবার পরিজন উঠছে পণ্যবাহী ট্রাকে। জীবনের ঝুঁকি জেনেও এমন যাত্রা দেখে এলাকার মানুষ অবাক না হয়ে পারছে না।জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত কুরবানির ঈদ উদযাপন করতে নিজ নিজ জন্ম ভিটায় পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছিল এসব লাখো কর্মজীবী মানুষ। ঈদ উদযাপন শেষে ফের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সব কর্মজীবী মানুষ ট্রেনের ছাদে ও অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই ট্রাকের উপরে চেপে যাচ্ছে যে যার কর্মস্থলে। ঈদের ছুটি শেেষ ফিরতেই হবে কর্মস্থলে সেটাই আসল কথা। কিন্তু ট্রেন ও বাসের টিকিট মিলছে না প্রয়োজন মত। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। আবার ট্রেনের টিকিট কেটেও ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে পারছে না অনেক যাত্রী।  এমন ঘটনা ঘটেছে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বৃহতম সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে।

বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী সকল ট্রেনের ভিতরে এবং ছাদের উপরে উপচে পড়া ভিড়ের কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছে লাখো কর্মজীবী মানুষ। বেশি ভিড়ের কারনে অনেক যাত্রী টিকিট কেটে ও ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে পারছেনা। এবিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কর্তব্যরত রেলওয়ে চেকিং বিভাগের কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, টিকিট কেটে ভিড়ের কারনে কোন যাত্রী যদি  ট্রেনে উঠতে না পারে তাহলে তাদের একই রুট ও গন্তব্যের পরের ট্রেনে যেতে কোন বাধা নেই।সান্তাহার পাশের নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শাহজাহান আলী বলেন, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন একটি বৃহৎ স্টেশন। এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে। আবার দুই ঈদের সময় যাত্রী সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অদূর অতীতে দুই ঈদের সময় এই সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে ঢাকাগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে সে ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের অভিমত ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু থাকলে ঝুঁকিপুর্ণ পণ্যবাহী ট্রাকে করে ফিরতে হতো না, পড়তে হতো না বিড়ম্বনায়। 

রাজু

×