ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

পাবনায় প্রতিবছর কমছে পাট চাষ

হৃদয় হোসাইন,কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার,পাবনা

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১৪ জুন ২০২৫

পাবনায় প্রতিবছর কমছে পাট চাষ

বিরূপ আবহাওয়া,বিলে সময় মতো পানি না আসা,শ্রমিকের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি,কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি,ন্যায্য দাম না পাওয়াসহ নানা কারণে প্রতি বছরই পাবনাতে কমছে পাটের আবাদ। অন্যান্য জেলার মতো পাবনা জেলায়ও ব্যাপক হারে পাটের আবাদ হতো। জেলার সাঁথিয়া,বেড়া,সুজানগর,ফরিদপুর এলাকায় বেশি চাষ হয়।পেঁয়াজের পর পরই পাটের স্থান। গত কয়েক বছর ধরে বিরূপ আবহাওয়া,পাট পচানোর পানির অভাব,ভালো বীজের অভাব,কৃষক ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ নানা কারণে কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। পাটখেত পরিচর্যা,কর্তন ও পাটের আঁশ ছড়াতে অনেক শ্রমিকের দরকার হয়। শ্রমিক সঙ্কট,পারিশ্রমিক বৃদ্ধির কারণেও পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কৃষকরা। সাঁথিয়া উপজেলার বাঐটোলা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান,পাট চাষ হয় মূলত খাল-বিলের পানির উপর নির্ভর করে। এখন খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাট পচানোর পানির অভাবে পাট চাষিদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ফসলটি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা জানান। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এই সোনালী আঁশ পাট চাষ হুমকির মুখে পড়বে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি বছর সাঁথিয়া উপজেলায় ৭৮৪৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস ১২০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণও পাটের বীজ দিয়ে দিয়েছেন। আরও ১৫০০ জন চাষীদের পাট চাষে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন,জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সাঁথিয়া উপজেলায় পাটের চাষ বেশি হয়েছে। প্রতিবছরই সাঁথিয়া উপজেলায় পাট চাষ বেশি হয়। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের দক্ষ কৃষি অফিসারগণ চাষাবাদের শুরু থেকেই কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সভা করেন। বেশি বেশি পাটের আবাদ বৃদ্ধি করতে মাঠ পর্যায় গিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এবছর কিছু নতুন জাতের পাট চাষ হয়েছে।

Jahan

×