
বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় বর আবু বকর আকনের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নববধূর পরিহিত দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা চারজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। বর আবু বকর এ অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, আমতলী উপজেলার শাখারিয়া গ্রামে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মোতালেব আকনের ছেলে, রিগাল ফার্নিচারের সুপারভাইজার মোঃ আবু বকর নববধূকে নিয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাড়িতে আসেন। ওই সময় আউয়াল মাদবর, কদম আলী মাদবর ও বশির ফকিরের নেতৃত্বে ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী এসে বাড়িতে হামলা চালায়। পরে তারা নববধূর শরীরে পরিহিত দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এতে বাধা দিলে নববধূর শ্বশুর মোতালেব আকন, ভগ্নিপতি ইউসুফ আকন, ননদ রিপা আক্তার ও জুলেখা আক্তারকে মারধর করে জখম করে।
এ ঘটনায় বর আবু বকর বাদী হয়ে শনিবার আমতলী থানায় আউয়াল মাদবর, কদম আলী মাদবর ও বশির ফকিরসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী আবু বকর বলেন, “নববধূকে নিয়ে বাড়িতে এসে মেহমানদের নাশতা করাচ্ছিলাম। এমন মুহূর্তে আউয়াল মাদবর, কদম আলী মাদবর ও বশির ফকিরের নেতৃত্বে ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। পরে নববধূর শরীরে পরিহিত দুই ভরি গহনা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে তারা আমার বাবা, দুই বোন ও ভগ্নিপতিকে মারধর করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।”
এ বিষয়ে কদম আলী মাদবর বলেন, “আবু বকর আমার ভাগ্নে। তার বিয়েতে আমার অপর তিন ভাগ্নেকে দাওয়াত দেয়নি। এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাতে বশির ফকির ও সবুজ হাওলাদার খালাতো ভাই আবু বকরের বাড়িতে যায়। ওই সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও ঘরভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে নববধূর গহনা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা।”
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সানজানা