
নীলফামারীর সৈয়দপুরে শুক্রবার (১৩ জুন) নানা আয়োজনে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধকালিন শোকাবহ ট্রেন ট্রাজেডি ও গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতি ও সৈয়দপুর স্মরনিকা পরিষদ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল পূর্জা-অর্চনা ও গীতা পাঠ, শহীদ স্মৃতিস্মম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, প্রার্থনা, ভোজন কীর্তন ও প্রসাদ বিতরণ এবং আলোচনা সভা।
১৯৭১ সালে ১৩ জুন মহান মুক্তিযুদ্ধকালীণ সময় সৈয়দপুর শহরের বসবাসরত সংখ্যালঘু হিন্দু ও মাড়োয়ারী পরিবারে সদস্যদের নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রেলওয়ে স্টেশনে একটি বিশেষ ট্রেনে তুলে গোলাহাট এলাকায় নিয়ে যায় পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা। এরপর সেখানে তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে ৪৪৮ জন সংখ্যালঘু হিন্দু ও মাড়োয়ারী পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। বর্বর হত্যাযজ্ঞের সেই স্থানটি সৈয়দপুর শহরের কয়া গোলাহাট বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। সেখানে গড়ে তোলা হয় একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
দিনটি স্মরনে শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের গোলাহাট বধ্যভূমি চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সন্তান রতন কুমার আগরওয়ালার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর গফুর সরকার, সহ-সভাপতি কাজী একরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের আহবায়ক অধ্যাপক শওকত হায়াত শাহ, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওনক আফজাল রিনু ও সাধারণ সম্পাদক রূপা হোসাইন, সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দপুর স্মরণিকা পরিষদের সভাপতি ও শহীদ পরিবারের সন্তান সুমিত কুমার আগারওয়ালা নিক্কি প্রমুখ। আলোচনা শেষে রাতে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে (জিআরপি মোড়) দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
রাজু