
পটুয়াখালী সদর উপজেলার চারাবুনিয়া গ্রামে দাদি কুলসুম বিবি (১০৫) ও সৎ মা সহিদা বেগমকে (৫০) দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে মো. আল আমিন (২৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই ঘাতক আল আমিন পলাতক রয়েছে। সে ওই গ্রামের আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে আল আমিন তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে ৩ থেকে ৪ দিন আগে তাকে খুঁজে পেয়ে স্বজনরা বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য শুক্রবার রাতের বাসের টিকিটও কাটা হয়।
দুপুরে আল আমিনের বড় ভাই তার পরিচয়পত্র আনতে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে এবং পিতা রাজ্জাক খান কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে গেলে, এ সুযোগে আল আমিন ঘরে একা পেয়ে তার সৎ মা ও দাদিকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, "প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে আল আমিন তার দাদী ও সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আল আমিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
সজিব