
ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষক-ছাত্রী কান্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষককে বিভাগীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো । এই ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সাবেক সমন্বয়ক সাংবাদিকসহ চারজন শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছেন ওই শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে নগরীর মতিহার থানায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
মামলা দায়ের করা শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। অন্যদিকে অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থী - আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সুমন, আইবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব।
মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ মে বিকাল ৫টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের এমবিএ এর ছাত্রী মারিয়া খাতুন পড়াশোনার বিষয়ে দেখা করতে ওই শিক্ষকের চেম্বারে যান। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা কক্ষে ঢুকে গালিগালাজ ও ওই ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে তাঁরা ভিডিও করতে থাকে ও ওই ছাত্রীকে মারতে আসে এবং তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়। পরবর্রতীতে ঘটনাস্থলে শিক্ষকের কাছ থেকে পাচঁ লাখ টাকা চাদাঁ দাবি করে। সেই সাথে চাদাঁ না দিলে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের এটিএম বুথ থেকে ১ লাখ টাকা তুলে সিরাজুল ইসলাম সুমনের হাতে দেই এবং নাজমুস সাকিব আরও চার লাখ টাকা পেলে ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ মে সকালে সুমন হোয়াটসঅ্যাপে বাকী চার লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলে। একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের ৩য় তলায় আমাকে পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে যেয়ে টাকা প্রদানের কথা বলে। উল্লেখ্য যে, আতাউল্ল্যাহ এবং সাজ্জাদ সে সময় আইনে বিভাগের গেটে অবস্থান করে আমাকে সাকিব ও সুমনের কাছে ইশারায় টাকা দিতে বলে। আমি আমার ৩০৭ নং কক্ষ থেকে সাকিব ও সুমনের কাছে দুই লাখ টাকা দিই। এই সম্পর্কিত কল রেকর্ড আমার কাছে আছে। সুমন আমাকে জানায় যে, ১৮ মে বাকী দুই লাখ টাকা দিতে হবে এবং তাদের ইন্ধনদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকালটির একজন শিক্ষক এই ঘটনার ও আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত। বাকী লাখ টাকা দিলে ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করবে বলে জানায়। পরবর্তীতে ১৪ মে রাতে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বিকৃতভাবে প্রকাশ করে আমাকে এবং আমার ছাত্রীকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করে।
মামলার বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, গতকাল দুপুরের পর মামলাটি দায়ের করা হয়। এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
আলীম