
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বলতে দেশে এখন কিছুই নেই। আন্দোলনের নামে দেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হচ্ছে। এটা কি বার্তা দিচ্ছে এগুলো বুঝতে হবে। শুধু তাই নয় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, প্রথমে ডিসেম্বর, পরে জুন। এখন আবার শোনা যাচ্ছে সেটাও সম্ভব না।
আন্তর্বতিকালিন সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাহলে কি আপনাদের মধ্যে এখন ক্ষমতার লোভ দানা বেঁধেছে? সাধারণ জনগণ এমনটাই কানাঘুষা করছে। আমরা শুনেছি উপদেষ্টা পরিষদ ও নীতি নির্ধারক অনেকেই বিদেশের নাগরিক। তবে কি এখন বিদেশি নাগরিকেরা দেশ চালাচ্ছেন? মঙ্গলবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের ৩৬ বছর পূর্তি ও ২৯ তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
‘সকল প্রকার বিভেদ ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করুন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন জুম্ম ছাত্র সমাজ অধিকতর সামিল হউন’ এই শ্লোগানে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আরও অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ম্রানুসিং মারমা প্রমুখ।
ঊষাতন বলেন,‘ ইউপিডিএফ এখন পাহাড়িদের মনে স্থান না পেয়ে দিল্লীর সুহাস চাকমাকে গুরু মানতে শুরু করেছে । তাদের মতিভ্রম হয়েছে। তারা মনে করেছে সন্তু লারমা মনে হয় শেষ হয়ে গেছে। আমি বলবো ওরা বোকার স্বর্গে বাস করছে। ইউপিডিএফের এসব ছল চাতুরি পাহাড়ের জুম্মরা বুঝে গেছে,তাদের প্রত্যাখান করেছে। তাই নতুন নতুন ফর্মূলা দিয়ে জুম্মদের বোকা বানাতে চাচ্ছে। আপনাদের এসব টনিক পাবলিক আর খায়না।’ তারপরও এসব বিভেদ পন্থিদের সম্পর্কে জনগণকে সকর্ত ও সচেতন করার দায়িত্ব ছাত্রসমাজকে নেয়ার আহবান জানান । তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে এই সরকার তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নতুন নেতৃত্বকে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
নোভা