
ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও, রাজধানীর উত্তরার মহাসড়কগুলোতে দিন রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিপদজনক এ সকল ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ও ইজি বাইক। প্রকাশ্যে ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়ে এসব অবৈধ অটো রিক্সা চলাচল করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি সচেতন মহলের। তবে মাঝেমধ্যে ট্রাফিক পুলিশ লোক দেখানো এসব অবৈধ অটো রিক্সা ধরে আবার ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশ বলছে ব্যাটারিচালিত এসকল যান বাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত আটক করা এবং রেকার বিল করা হচ্ছে।
নিষিদ্ধ এইসব ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চলাচলের কারণেই নিয়মিত সড়কে বাড়ছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। অপরদিকে ব্যাটারি চালিত রিক্সার কারণেই বাড়ছে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার ও বিদ্যুতের বাড়তি অপচয়। এসব বৈদ্যুতিক রিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে বাড়ছে নানান দুর্ঘটনা, ফলে ঘটছে নানান অগ্নিকাণ্ডমূলক ঘটনা, এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ফলে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত শত অটো রিক্সা মহাসড়কে চলাচল করছে , ফলে দেখা যায় নিয়মিত মহাসড়কে তৈরি হচ্ছে যানজট ও নানা ধরনের ভোগান্তি। একজন অটো রিক্সা চালক বলেন, তার রিক্সা নিয়মিত সড়কে বের হয়, এবং তার অটো রিক্সা প্রতিদিন বিদ্যুৎ খরচ বাবদ গ্যারেজ মালিক কে দৈনিক ১০০ টাকা করে দিতে হয়, মাসে মোট ৩ হাজার টাকা, এবং সে আরো বললো তার গ্যারেজে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি অটো রিক্সা আছে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একটা অটো রিক্সা চার্জ দিতে দৈনিক তিন থেকে চার ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়, এতে করে প্রতিমাসে রিক্সা প্রতি ১৫০০ টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয় । তুরাগের পাকুরিয়ার একজন গ্যারেজ মালিক বলেন, তার গ্যারেজে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ খরচ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং পনের থেকে বিশটি অটো রিক্সা আছে তার গ্যারেজে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, তুরাগের পাকুরিয়া- যাত্রাবাড়ী- বাউনিয়া- দলিপারা এবং আহালিয়া এলাকা সহ প্রায় ১০০ টিরও বেশি অটো রিক্সার গ্যারেজ রয়েছে। এতে করে দেখা যায় এসব গ্যারেজে রয়েছে দুই হাজার- থেকে তিন হাজার অটো রিক্সা যার প্রতি মাসে বিদ্যুৎ খরচ হয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এইসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ হলে বাংলাদেশের বিদ্যুতের ওপর একটি বড় চাপ কমবে এবং বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নোভা