
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা একসময় ছিল শিশু-কিশোর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপ্রেমীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। নানা রকম পশুপাখি ও সবুজে ঘেরা এই চিড়িয়াখানাটি ছিল বিনোদনের অন্যতম স্থান। কিন্তু বর্তমানে চিড়িয়াখানাটি তার আগের চেহারা হারিয়ে ফেলেছে। দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকা পশুপাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
এই অবস্থায় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল প্রাণীর সংখ্যা বাড়িয়ে চিড়িয়াখানাটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন।
বর্তমানে চিড়িয়াখানাটিতে কয়েকটি হরিণ, বানর ও কিছু সাধারণ পাখি ছাড়া আর তেমন কিছুই দেখা যায় না। একসময় যে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, কুমিরসহ নানা ধরনের প্রাণী এখানে ছিল, এখন সেগুলোর খাঁচা ফাঁকা পড়ে আছে। দর্শনার্থীরা এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাধন জানান, "আমাদের এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে পশুপাখি দেখার জন্য। কিন্তু তারা হতাশ হয়ে ফিরে যায়, আমরা চাই দ্রুত সব পশুপাখি ফিরিয়ে আনা হোক।"
এছাড়া চিড়িয়াখানার পাশেই বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "আমরা ছোটবেলায় এখানে এসে নানা রকম পশুপাখি দেখতাম। এখনকার শিশুরা সেই অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বিনোদনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, অন্যদিকে রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি স্থাপনাও হারাচ্ছে তার গৌরব"
শুধু এলাকাবাসীই নয়, শিক্ষার্থী ও পরিবেশবাদীরাও এই অবস্থার পরিবর্তন চান। সচেতন মহল মনে করেন, দ্রুত উদ্যোগ না নিলে এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি পুরোপুরি বিলুপ্তির পথে যাবে। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আহমেদ শফি বলেন, " আমাদের বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের অনেক গুরুত্বপুর্ন জায়গা এই চিড়িয়াখানা। বর্তমান চিড়িয়াখানার এই পরিস্থিতি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক বিকাশে বাধা প্রদান করবে। দ্রুতই এর সমাধান হওয়া দরকার। রাজশাহীর এই চিড়িয়াখানা আবার প্রাণ ফিরে পায় এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে এমনটায় প্রত্যাশা সকলের।"
এ বিষয়ে রাজশাহী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পশুপাখি ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলীম